ফেলে দেয়া ময়লা আবর্জনার স্তূপ থেকে সবজি খুঁজছে শিশুরা। ডাস্টবিনের পাশাপাশি বিভিন্ন বাজারগুলো থেকে এভাবেই নিজেদের চাহিদামতো সবজি ও খাবার সংগ্রহ করেন কলম্বিয়ার অনেক বাসিন্দা। দেশজুড়ে নানা সংঘাত ও চড়া মূল্যস্ফীতিতে বিপাকে কলম্বিয়ার সাড়ে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ।
গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অ্যাগেইনস্ট ফুড ক্রাইসেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন কলম্বিয়ার নাগরিকদের পাশাপাশি প্রায় প্রায় ৩০ লাখ অভিবাসী। প্রয়োজনের তুলনায় খাবার কেনার টাকাই নেই অনেকের। বাজারে নিত্যপণ্যের চড়া দামে নাজেহাল ক্রেতারাও। অনেকেই বাধ্য হচ্ছেন প্রয়োজনীয় খরচ কমাতে।
শুধু রাজধানী নয়, বিপাকে প্রান্তিক এলাকার জনগণও। এল নিনোর প্রভাব পড়ছে কৃষিখাতেও। কমেছে ফসলের উৎপাদন। এমন পরিস্থিতিতে কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমস্যা সমাধানের তাগিদ বিশ্লেষকদের।
বিশ্লেষকদের একজন বলেন, 'অনেক পরিবার মাসিক বাজেট কাটছাঁট করছেন কিন্তু সরকারি পরিষেবা ও পরিবহন খরচ কমানো যাচ্ছেনা। স্বল্পমেয়াদে,ফসলের জন্য নতুন কৌশল প্রতিষ্ঠা করতে এবং টেকসই কৃষি বাস্তবায়নে আবহাওয়ার বিষয় বিবেচনা নিয়ে ফলস ফলাতে হবে।'
বছরের পর বছর ধরে তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কলম্বিয়া। পাশাপাশি দেশজুড়ে চলমান সশস্ত্র সংঘাত অর্থনীতিসহ খাদ্য উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করেছে। কৃষিখাত সংস্কারের পাশাপাশি কৃষকদের জীবনমানও উন্নত করতে হবে।
এদিকে, পর্যটনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে চেষ্টা করছে কলম্বিয়া। মধ্যপ্রাচ্য ও এশিয়ার পর্যটকদের টানতে আকাশপথে যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি সহজ শর্তে ভিসাদান ও পর্যটনবান্ধব প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির সরকার। চলতি বছর দেশটিতে ৩০ লাখ পর্যটন টানতে চাচ্ছে কলম্বিয়ার ট্যুরিজম বোর্ড।