বিদেশে এখন
0

ইসরাইল-হিজবুল্লাহর পাল্টাপাল্টি হামলায় বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা

সম্প্রতি ইসরাইল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলায় বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা। নতুন করে ইসরাইলিদের শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে ইরান সমর্থিত লেবাননের এই গোষ্ঠীটি। কারা এই হিজবুল্লাহ।

হামাস-ইসরাইল যুদ্ধের শুরু থেকে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করে যাচ্ছে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। সম্প্রতি পাল্টাপাল্টি আক্রমণের হুমকি দেয় দুই পক্ষ। এমন অবস্থায়, রোববার ( ২৩ জুন) লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এছাড়া, হামাসকে অস্ত্র সরবরাহকারী এক ব্যক্তিকে হত্যার দাবি করছে তারা। জবাবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ঘাঁটি লক্ষ্য করে বেশকিছু ক্ষেপনাস্ত্র ছুঁড়েছে হিজবুল্লাহ।

মূলত ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ১৯৮২ সালে গড়ে উঠে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠী। ইরান সমর্থিত সংগঠনটির বেশিরভাগ সদস্য শিয়াপন্থী। এই অঞ্চলে ইসরাইলের সবচেয়ে বড় শত্রুতে পরিণত হয়েছে তারা। ইসরাইলের ভেতরে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন সব নির্ভুল রকেট আছে হিজবুল্লার কাছে। যাদের সেনা সংখ্যা ১ লাখের ওপর। ১৯৯২ সাল থেকে গোষ্ঠীটির নেতৃত্বে আছেন হাসান নাসরাল্লাহ।

লেবাননের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক জোটগুলোর একটি হিজবুল্লাহ। বিশাল রাজনৈতিক ও সামরিক নেটওয়ার্কের কারণে প্রায়ই তাদের একটি রাষ্ট্রের ভেতর আরেকটি রাষ্ট্র হিসেবে ডাকা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হিজবুল্লাহকে কয়েক মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে ইরান।

ইসরাইলকে লেবাননের মাটি থেকে বিদায়ের লক্ষ্য নিয়ে হিজবুল্লাহ গড়ে উঠে। প্রায় ২০ বছর লড়াইয়ের পর ২০০০ সালে দক্ষিণ লেবানন থেকে সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় ইসরাইল। সংগঠনটি ইশতেহার আছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে পশ্চিমা শক্তিকে বিতাড়িত এবং ইসরাইলকে পরাজিত করা।

২০০৬ সালে একটি আন্তঃসীমান্ত অভিযানে, দুই ইসরাইলি সেনাকে বন্দী করে হিজবুল্লাহ। জবাবে সামরিক শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে ইসরাইল। যা ৩৪ দিনের যুদ্ধে রূপ নেয়। এতে প্রাণ হারায় ১ হাজারের বেশি লেবানিজ এবং ১৬৫ জন ইসরাইলি। যদিও এই যুদ্ধে নিজেদের বিজয়ী দাবি করে আসছে হিজবুল্লাহ।

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশ হিজবুল্লাহকে চিহ্নিত করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে। এমনকি সৌদি আরবও তাদের এই তালিকায় রেখেছে। যদিও ইউরোপীয় ইউনিয়ন সংগঠনটির সামরিক শাখাকে সন্ত্রাসী বললেও, রাজনৈতিক শাখাকে সমর্থন জানিয়েছে।

লেবানন সরকারে হিজবুল্লাহর মন্ত্রী ও আইনপ্রণেতা আছেন কয়েকজন। ২০১৬ সালে, হিজবুল্লাহ-সমর্থিত মিশেল আউন রাষ্ট্রপতি হন। এর দুই বছর পর, হিজবুল্লাহ ও তার মিত্ররা দেশের সাধারণ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ২০২২ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও, দেশের রাজনীতিতে ধরে রেখেছে তাদের কর্তৃত্ব।

ইএ