টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের স্থান সিকিম। গেল এক সপ্তাহ ধরেই ভারি বৃষ্টিপাতের কবলে রাজ্যটি। আর অতিবৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে ভূমিধস।
বন্যা ও ভূমিধসের কারণে গোটা রাজ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্যাংটক থেকে উত্তর সিকিমের মাঙ্গন যাওয়ার রাস্তা পুরোপুরি বিপর্যস্ত। লাংচুয়ে আটকে আছে প্রায় ২ হাজার পর্যটক। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। বেশিরভাগ রাস্তা যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় পর্যটকদের পায়ে হেটে চলাচল করতে হচ্ছে। ভূমিধসে এরিমধ্যে বেশ কয়েকজন পর্যটক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
পর্যটকদের একজন বলেন, '১২ তারিখ থেকে এখানে আটকে আছি। ৪ পরিবারের প্রায় ১৩ জন সদস্য একসঙ্গে এসেছি আমরা। মাঙ্গনে এমনকি খাওয়ার পানিও পাওয়া যাচ্ছিলো না।'
আরেকজন বলেন, 'পরিবার নিয়ে নিরাপদে যেতে পারবো কীনা দেখছি। যদি মনে যেতে পারবো তাহলেও কেবল রওয়ানা দেবো।'
ইতোমধ্যে প্রায় ১২শ' পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তবে আবহাওয়ার বৈরিতায় উদ্ধারকাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা যাচ্ছে না বলে জানান তারা।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, মৌসুমের শুরুতেই অনেক ক্ষতি হয়ে গেলো। আমাদের সব ইঞ্জিনিয়ার ও আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ধারকাজে যোগ দিয়েছে। যেখানেই ধস হচ্ছে, দুই-এক ঘণ্টার মধ্যেই রাস্তা পরিষ্কার করে দিচ্ছি।
উত্তর সিকিম ও চুংথাংয়ের রাস্তায় আটকে আছে বহু গাড়ি। সেই সঙ্গে কয়েকশ' পর্যটক আটকে আছেন সেখানে।
ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। কারণ সিকিমসহ ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। পার্বত্য এলাকা ও এর আশপাশের জেলাগুলোতে রয়েছে অতিবৃষ্টির শঙ্কা। এতে দেখা দিতে পারে পাহাড় ধসও। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলাতেও ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
২০২৩ সালের অক্টোবরে আকস্মিক বন্যায় সিকিমে ৫০ জন পর্যটক নিহত হয়েছিল।