নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে গবেষক দলটি। তাদের মতে, গ্রহটির বায়ুমণ্ডল নিয়ে এখনো তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। নতুন গ্রহটির আকার, তাপমাত্রা ও এটি কীভাবে চলাচল করে তা হিসাব করতে গবেষকদের এক বছরেরও কম সময় লেগেছে।
আকারে পৃথিবীর মতো এমন কতগুলো গ্রহ আছে সে সম্পর্কে জানতে এই গবেষণা নতুন মাত্রা যোগ করবে। শুধু তাই না পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে ও বুঝতে সহায়তা করবে।
মহাকাশের দিক থেকে বিবেচনা করলে 'গ্লিস ১২বি' গ্রহটি ৪০ আলোকবর্ষ দূরে রয়েছে। সেখানে পৌঁছাতে সবচেয়ে দ্রুতগতির মহাকাশযানের সময় লাগবে প্রায় তিন লাখ বছর। গ্রহটি প্রতি ১২ দশমিক ৮ দিনে সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করে। গ্লিস ১২বি এর মতো গ্রহগুলো সংখ্যায় খুব কম থাকায় এবং এদের মধ্যে দূরত্ব অনেক বেশি হওয়ায় এসব গ্রহের বায়ুমণ্ডল ও তাপমাত্রা সম্পর্কে জানা বেশ কঠিন।
এই গবেষণার পরবর্তী ধাপে গবেষকরা নতুন গ্রহের বায়ুমণ্ডল পরীক্ষা করে দেখবেন গ্রহটির সঙ্গে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কোন মিল আছে কি না। মানুষের বসবাসের জন্য আদর্শ হলো, হালকা স্তরের বায়ুমণ্ডল।