বিদেশে এখন

চীন সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

ইউক্রেনে হামলা বাড়িয়ে চীন সফরে গেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে পুতিন বলেন, 'চীন রাশিয়ার অংশীদার থাকবে সবসময়।' রুবল আর ইউয়ানে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশ হচ্ছে বলেও জানান তিনি। এসময় পরমাণু শক্তি সক্ষমতা জোরদারের কথা জানায় দুই দেশ। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে জোর দিলেও ঠিক কি বাণিজ্যে জোর দেয়া হচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তিত পশ্চিমারা।

আজ (বৃহস্পতিবার, ১৬ মে) সকালে বেইজিং পৌঁছান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পঞ্চম মেয়াদে নির্বাচনে জেতার পর এই প্রথম বিদেশ সফর করছেন পুতিন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের পক্ষ থেকে তাকে দেয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা। রুশ ভাষায় গান গেয়ে স্বাগত জানানো হয় পুতিনকে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পড়ে বহাল থাকবেন পুতিন, তাই চীনের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও জোরদার করতেই দুইদিনের এই সফর।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জানান, প্রতিবেশি এই দেশের সঙ্গে ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরও জোরদার হবে সারাবিশ্বে ন্যায় প্রতিষ্ঠায়।

রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, জ্বালানি, শিল্প আর কৃষিখাত ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে হবে আলোচনা। চীন-রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তীতে শি জিনপিং বলেন, 'গেল কয়েক বছরে পুতিনের সঙ্গে তার ৪০ বার সাক্ষাৎ হয়েছে। প্রতিবারই দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছে। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় দুই দেশের মধ্যে। পরমাণু শক্তি সক্ষমতা জোরদারের কথা জানায় দুই দেশ।'

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আরও বলেন,  'চীন সবসময় রাশিয়ার প্রতিবেশি বন্ধু। সমঝোতার সম্পর্ক বজায় থাকে দুই দেশের।  আমাদের বন্ধুত্বের মধ্য দিয়ে একসঙ্গে নিজ নিজ দেশের উন্নয়নে কাজ করা। আর বিশ্বে সমতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় কাজ করি  আমরা।'

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, 'মস্কো আর বেইজিংয়ের সমঝোতার ইতিহাস পুরোনো। ২০২৩ সালে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে। পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। ব্যবসা-বাণিজ্যে রাশিয়ার অন্যতম অংশীদার দেশ চীন।'

এদিকে, ইউক্রেনের যুদ্ধে চীনের সমর্থনের প্রশংসা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তার দাবি, ইউক্রেনে সংকট সমাধানে কোন পদক্ষেপই পশ্চিমারা সমর্থন করছে না। যেখানে চীন কাজ করছে লাইফ লাইন হিসেবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন থামাতে সবর্প্রথম এই দুই দেশের বন্ধুতে ভাঙন ধরানো জরুরি। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ঠিক কি থাকতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আলোচনা হতে পারে ইউক্রেনে সেনা অভিযান পরিচালনায় রাশিয়াকে কিভাবে সহযোগিতা করতে পারে চীন।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর