গেল কয়েকদিনের বৃষ্টিপাত ও বন্যায় বিপর্যস্ত চীনের দক্ষিণাঞ্চল। ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি ঘটেছে প্রাণহানি। প্রাকৃতিক দুর্যোগে দেশটির একদিকে যখন নাজুক পরিস্থিতি, তখন অন্যদিকে তখন মে দিবসকে ঘিরে চাঙ্গা দেশটির পর্যটন খাত। বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোর পাশাপাশি হোটেল-মোটেলে চলছে অগ্রিম বুকিং।
পর্যটনের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে গতি ফিরেছে। এরইমধ্যে বেশিরভাগ টিকিট শেষ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, চীনের সঙ্গে থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরের ভিসামুক্ত চুক্তির ফলে উভয় দেশেই পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে। চীনে শ্রম দিবসের ছুটি ঘিরে চলতি মাসে ফ্লাইট বুকিংয়ের চাহিদা বেড়েছে ৫০ শতাংশ। যা আগামী মাসজুড়ে অব্যাহত থাকবে।
এক দর্শনার্থী বলেন, আকাশপথে সহজেই জুঝো শহরে আসতে পেরেছি, পুরো শহরটি ঘুরে দেখার পাশাপাশি এখানকার সুস্বাদু খাবার এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে চাই।
বেশ কয়েকটি বুকিং প্ল্যাটফর্মের তথ্য বলছে, দেশটির অভ্যন্তরীণ বিনোদনকেন্দ্রগুলোর প্রায় ৫৬ শতাংশ বুকিং হয়েছে।
এরইমধ্যে বসন্তের ছুটিতে দেশটির ঐতিহ্যবাহী পর্যটনস্থানগুলোর নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী ভিড় করছেন জিয়াংসু প্রদেশের জুঝো শহরে। এরইমধ্যে শহরটিতে ভ্রমণ করেছেন প্রায় রেকর্ড দুই কোটি ১০ লাখ মানুষ। সবমিলিয়ে দেশটির পর্যটন খাতে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার আয় ছাড়িয়েছে।
জুঝো ছাড়াও পর্যটকদের পদচারণায় মুখর বেইজিং, সাংহাই, চংকিং, হ্যাংজু, নানজিং, তিয়ানশুই ও জিয়ান শহর। সুদিন ফিরেছে রেস্তোঁরা ব্যবসায়, আর বেচাবিক্রি বাড়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা।
হোটেল মালিকরা বলেন, প্রতিদিন আমাদের দোকানে ৪শ’ থেকে ৫শ’ জন আসতেন। বর্তমানে এই সংখ্যা ১৫শ’ জনে ছাড়িয়েছে। আগের তুলনায় বেচাবিক্রি অনেক বেড়েছে।