ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন কোনোভাবেই মানতে পারছেন না শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ফিলিস্তিনিদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালানোর সাহস পেতো না ইসরাইল। এ অবস্থায় দ্রুত হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে দেশটিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন।
বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, 'শহরের ও রাষ্ট্রের ভালোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতিকে পদত্যাগ করা উচিত। এই বিক্ষোভ সহিংসতার দিকে এগিয়ে যাক তা কোনোভাবেই কাম্য নয়।'
আরেকজন বলেন, 'আমি বাক-স্বাধীনতার পক্ষে। তাই আমি মনে করি কলেজ ক্যাম্পাসগুলো এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান।'
প্রথমে কলম্বিয়া ও ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হলেও ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে আরও বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এ অবস্থায় বিক্ষোভ বন্ধ করে ক্যাম্পাসকে শান্ত রাখার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের উপর চাপ বাড়িয়েছে মার্কিন প্রশাসন। যা সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্মকর্তারা।
পুলিশের এক কর্মকতা বলেন, 'কোনো শিক্ষার্থীর শারীরিক ক্ষতি হয়েছে এমন খবর পাইনি যদি কোনো ইহুদি শিক্ষার্থী বা অন্য কেউ লাঞ্ছিত হয়ে পুলিশকে জানাতে চায় তাহলে আমরা তাদের পাশে থাকবো।'
এদিকে বিক্ষোভ সামাল দিতে গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক সিটি পুলিশকে ক্যাম্পাসে ঢোকার অনুমতি দেয় কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ইহুদি বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সশরীরে ক্লাস নেয়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। অনলাইনে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার (২২ এপ্রিল) ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভকারী অনেক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এতেও দমানো যাচ্ছে না শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্যাম্পাস শান্ত রাখার জন্য বিক্ষোভকারীদের একাধিকবার অনুরোধ জানালেও তারা সেটি উপেক্ষা করছেন। সেকারণে অনেকটা বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশে খবর দিয়েছেন।