অবশেষে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিলটি পাস হওয়ায় ২০২২ সাল থেকে ব্রিটেনে অবৈধভাবে প্রবেশ করা আশ্রয়প্রার্থীদের পাঠানো হবে রুয়ান্ডায়। পূর্ব আফ্রিকার দেশটিতে অবস্থান করে ৫ বছরের মধ্যে ব্রিটেনে আশ্রয় উপযোগী হিসেবে প্রমাণ করতে হবে তাদের। সফল হলে আশ্রয় মিলবে ব্রিটেনে। অন্যথায় থাকা যাবে রুয়ান্ডায় কিংবা আশ্রয়ের আবেদন করা যাবে তৃতীয় কোনো দেশে।
বিলটি পার্লামেন্টে তোলার আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানান, অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডা পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী তিন মাসের মধ্যে। জাতীয় সুরক্ষার জন্য রুয়ান্ডা বিলটি জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আগামী ১০ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে প্রথম ফ্লাইট ছেড়ে যাবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমাদের দেরি হয়ে গেছে। তবে আমরা সবসময় বলেছি এই প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে।'
বিচার বহির্ভূত হত্যা, পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু, গুম ও নির্যাতনের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের হাজার হাজার রেকর্ড আছে রুয়ান্ডার বিরুদ্ধে। বিরোধীদলের অভিযোগ, অভিবাসীর ঢল ঠেকাতে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে আইনের নামে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। অন্যদিকে নতুন আইন কার্যকরের মাধ্যমে শরণার্থীদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবার শঙ্কা মানবাধিকার সংস্থাগুলোর।
তবে ব্রিটিশ সরকার বলছে, সমুদ্রপথে দেশটিতে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রাণ যাচ্ছে অনেকের। যারা ব্রিটেনে প্রবেশ করতে পারছে, তারা দেশটির জনগণের উদারতার অপব্যবহার করছে। আশ্রয় প্রার্থীদের পেছনে খরচ হচ্ছে জনগণের লাখ লাখ পাউন্ড ট্যাক্সের অর্থ। যা বন্ধ করতেই এমন পদক্ষেপ। এর পাশাপাশি মানব পাচারকারীদের চক্র নিষ্ক্রিয় হবার আশা ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির। গেল বছর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেন প্রবেশ করেছে প্রায় ৩০ হাজার জন।
আর এই আশ্রয় প্রার্থীদের আবাসনের বিনিময়ে আগামী ৫ বছরে ৩৭০ মিলিয়ন পাউন্ড নেবে রুয়ান্ডা। ইতিমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ অর্থ পরিশোধ করেছে ব্রিটিশ সরকার। তবে ৩০০ জনের বেশি আশ্রয় প্রত্যাশীকে পাঠানো হলে সেক্ষেত্রে প্রতিজনের জন্য দেড় লাখ পাউন্ড এবং চুক্তির আওতায় এককালীন ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড দেয়া হবে রুয়ান্ডার অর্থনীতি গতিশীল করতে।