৬ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। ভূখণ্ডটিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫শ ফিলিস্তিনি। জোর করে দখল করা হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের বসতি। নিয়মিত অভিযান চালানোর নামে চলছে নির্যাতন। এমন পরিস্থিতিতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসের তথ্য বলছে, নেতজাহ ইয়াহুদা ব্যাটেলিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমতীরে কার্যক্রম চালানো বাহিনীটির ওপর আছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকতে পারে বাহিনীটিকে মার্কিন সহায়তার অর্থ বন্ধ করার বিষয়টি।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই নিষেধাজ্ঞা আটকাতে ব্যস্ত ইসরাইলি প্রশাসন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দেশটির কয়েকজন কর্মকর্তার দাবি, নেতজাহ ইয়াহুদা ব্যাটেলিয়নের বিরুদ্ধে বাইডেন প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে পরবর্তীতে আইডিএফের অন্যান্য ইউনিটের ওপর নেমে আসতে পারে নিষেধাজ্ঞার খড়গ। এতে কমে যাবে ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার অর্থ।
অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সরকারের এই সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত হয়ে এসেছে ইসরাইলের জন্য। কয়েকমাস ধরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইডিএফকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে সতর্ক করলেও এতে কর্ণপাত করেনি ইসরাইল। কারণ ইসরাইলি প্রশাসনের কল্পনাতেও ছিল না তাদের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। তাই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করবেন তিনি।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, 'আইডিএফ ও সেনাবাহিনী সদস্যদের আমি রক্ষা করবো। যদি কেউ মনে করে যে তারা আইডিএফ এর একটি ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে, আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করবো। যুদ্ধের ময়দানে সেনারা আমাদের রক্ষা করছে, রাজনীতির মাঠে তাদের রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।'
এদিকে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়ায় পদত্যাগ করেছেন ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা প্রধান। প্রায় ৭ মাসের মধ্যে উচ্চপদস্থ কোনো ইসরাইলি কর্মকর্তার পদত্যাগের ঘটনা এটি।