বিদেশে এখন
0

ইরানের হামলার প্রতিবাদ, তারপর!

ইরানের হামলার প্রতিবাদ কিভাবে করবে ইসরাইল তার ওপর নির্ভর করছে মধ্যপ্রাচ্যে কতদূর গড়াবে আঞ্চলিক এই সংঘাত। ইসরাইলের যুদ্ধসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা থেকে আসতে পারে সিদ্ধান্ত। যেখানে নেতানিয়াহু'র সঙ্গে আলোচনা হয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালন্ত ও বেনি গ্যান্তজের সঙ্গে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বিশ্লেষণ বলছে, নেতানিয়াহু দ্রুতই ইরানে হামলা না করলেও ইসরাইলের লক্ষ্য ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলো।

মধ্যপ্রাচ্যে বড় আঞ্চলিক দ্বন্দ্বের শুরু হতে পারে তখন থেকেই যখন কেবিনেটে ইরানের ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দেয়ার ঘোষণা দেবেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। যুদ্ধ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভায় মধ্যরাতে ভোটাভুটি হয় এই বিষয়ে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইওয়াভ গ্যালন্ত ও বেনি গ্যান্তজ। ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেয়া নেতানিয়াহুর বিরোধীপক্ষের নেতা বেনি গ্যান্তজ কোন দপ্তর ছাড়াই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন ইসরাইলে হামাসের হামলার পর থেকে। এরমধ্য দিয়ে বেড়ে গেছে ইরানের সঙ্গে ইসরাইলের সংঘাত।

এখন এই তিনজনই নির্ধারণ করবেন ইরানের বিরুদ্ধে কি হবে ইসরাইলের পরবর্তী পদক্ষেপ। সঙ্গে এই অঞ্চলের ভবিষ্যতও নির্ভর করছে তাদের পদক্ষেপের ওপর। কয়েক ঘণ্টার বৈঠকের আগে জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেন নেতানিয়াহু। এই ফোনালাপের পর বাইডেন একটি বার্তা দেন যেখানে বলা হয় ইসরাইলে সব ধরনের ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে। যেখানে স্পষ্ট কোনভাবেই ইসরাইলের নিরাপত্তাকে হুমকিতে ফেলতে পারবে না কোন দেশ।

সংবাদ মাধ্যম দ্যা গার্ডিয়ানের বিশ্লেষণ বলছে, বাইডেন আর ইরানিয়ানরা স্পষ্টই জানেন নেতানিয়াহুর পদক্ষেপ হবে ইরানের পরমাণু প্ল্যান্টগুলো ধ্বংস করে দেয়া। যা ইসরাইলের জন্য তৈরি করবে বড় ধরনের হুমকি। পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতার প্রয়োজন পড়বে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরাইলি বাহিনী মিলে এই পরমাণু কেন্দ্রগুলো জব্দ করে রাখতে পারে। মার্কিন বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বলছে, প্রতিক্রিয়া বিবেচনা না করেই ইরানের হামলার দ্রুতই জবাব দিতে পারে ইসরাইল।

সংবাদ মাধ্যম এনবিসি'র প্রতিবেদন বলছে, এই সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্রকে টেনে নিয়ে আসছে ইসরাইল। গাজায় সহিংসতাও অব্যাহত রাখবে তেল আবিব। তবে ওয়াশিংটন বলছে, তাৎক্ষণিক এই হামলার জবাব ইসরাইল দেবে না। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এই হামলা নিয়ে অধিবেশন ডেকেছে নেতানিয়াহু সরকার।

ইসরাইলে ইরানের হামলার পর পুরো বিশ্বের চোখ সরে গেছে গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসন থেকে। তবে গাজা ইস্যুতে যেখানে ইসরাইলকে অস্ত্র সহায়তা দেয়া সীমিত করতে চেয়েছে ওয়াশিংটন, সেক্ষেত্রে মিত্র দেশের অস্ত্র সহায়তা না পেলে ইরানের কাছে আরও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে ইসরাইল। পশ্চিমা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকরা।

ইএ