আগের গবেষণায় দেখা গেছে, জি-৭ ভুক্ত দেশে ক্রমবর্ধমান সামাজিক বৈষম্য শিশুদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করেছে।
যুক্তরাজ্যের কর্ম ও পেনশন বিভাগের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রায় ৪.৩৩ মিলিয়ন শিশু ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত নিম্নআয়ের পরিবারে বসবাস করেছে। যা আগের বছরে ছিল ৪.২২ মিলিয়ন।
এর আগে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত ১২ মাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪.২৮ মিলিয়ন হয়েছিল।
দাতব্য সংস্থ্যা সেভ দ্য চিলড্রেনের মেগান মিক-ও’কনর বলছেন, আজ ৪৩ লাখ শিশু ব্যর্থ হচ্ছে। এটি একটি আক্রোশের বিষয় যে, আরও ১ লাখ শিশু দারিদ্র্যের মধ্যে রয়েছে।
একটি পরিবার আপেক্ষিক দারিদ্র্যের মধ্যে বিবেচিত হয় যদি ওই পরিবারের আবাসন খরচের পর গড় আয় ৬০ শতাংশের নিচে থাকে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আপেক্ষিক নিম্নআয়ের আনুমানিক মোট সংখ্যা ছিল ১৪.৩৫ মিলিয়ন, যা আগের বছরের ১৪.৪০ মিলিয়ন থেকে কম।
জোসেফ রাউনট্রি ফাউন্ডেশন (জেআরএফ) অনুসারে, পরিসংখ্যানে প্রকৃত চরম দারিদ্র্যের সংখ্যা দেখায়। আগের বছরের তুলনায় ৬ লাখ মানুষের মধ্যে প্রায় অর্ধেক শিশু চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করছিল।
জেআরএফ প্রধান বিশ্লেষক পিটার মেটেজিক বলেন, ‘আজ প্রকাশিত বার্ষিক দারিদ্র্যের পরিসংখ্যান নিশ্চিত করে যে সরকার জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট থেকে সবচেয়ে দুর্বলদের রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্যের পতনের কারণ সবচেয়ে কম আয়ের লোকদের ভাল থাকার চেয়ে মধ্যম আয়ের পরিবারের আয় কমে যাওয়া।’