গাজায় ইসরাইলের সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা অস্থির করে রেখেছে লোহিত সাগর। যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্যের হামলা, হুতি বিদ্রোহীদের পাল্টা হামলায় অস্থিতিশীল লোহিত সাগর আর ইয়েমেনের বন্দরগুলো।
সোমবার(১১ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্র আর যুক্তরাজ্য ইয়েমেন উপকূলে হামলা চালিয়ে হুতিদের সমরাস্ত্র ধ্বংসের দাবি করে। সেন্টকম জানায়, এই অস্ত্রগুলো বাণিজ্যিক জাহাজ আর যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর জাহাজের জন্য হুমকি। যৌথ বাহিনী বলছে, আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে নিরাপত্তা নিশ্চিতেই চলছে হামলা।
হুতিদের ছোড়া ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্রে বিশ্বের জাহাজ চলাচল ব্যবস্থা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অনেক জাহাজ পরিচালনা কোম্পানিকে বেছে নিতে হচ্ছে অন্য পথ। বাড়ছে সময় আর খরচ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য সংস্থা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা প্রতিহত করতে একজোট হলেও কোনভাবেই হুতিদের হামলা নিয়ন্ত্রণে আসছে না। বিশ্বের ব্যস্ততম এই নৌপথে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অব্যাহত রেখেছে হুতিরা।
হুতিদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারেয়া জানান, পবিত্র রমজান মাসেও যেভাবে ইসরাইল গাজায় আগ্রাসন চালিয়েন যাচ্ছে, গাজা উপত্যকার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেই বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা অব্যাহত থাকবে। সারেয়া আরও বলেন, মার্কিন একটি জাহাজ লোহিত সাগরে হুতিদের লক্ষ্য ছিলো। যদিও সেন্টকম জানায়, জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
এর আগে বুধবার ট্রু কনফিডেন্স জাহাজে হুতিদের হামলায় ৩ ক্রু সদস্য নিহত হয়। নভেম্বরে বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা শুরুর পর এই প্রথম হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর আগে গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি কার্গো জাহাজ রুবিমারে হুতিদের হামলার পর জাহাজটি ডুবে গিয়ে লোহিত সাগরে পরিবেশ বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে।