বিদেশে এখন

ব্রিটেনে আশঙ্কাজনকহারে কমছে জন্মহার

সাম্প্রতিক তথ্য বলছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার হার ব্রিটেনে। জনসংখ্যার এমন বিপর্যয়ে সামনের সময়ে হুমকির মুখে পড়তে পারে ব্রিটেনের অর্থনীতিও।

দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদন বলছে, মৃত্যুহারের সাথে জন্মহারের স্বাভাবিক পার্থক্য যেখানে শতকরা ২.১ ভাগ, সেখানে ব্রিটেনে এই হার ১.৪৯। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের গড় ১.৫৩ শতাংশের চেয়ে কম।

বলা হচ্ছে, ব্রিটেনে ব্যয়বহুল জীবনধারণ, নারীদের পেশাগত বা আর্থিক চাপ ও চাইল্ড কেয়ারের খরচ বৃদ্ধিসহ বেশকিছু কারণে অনীহা বাড়ছে সন্তান নিতে।

ব্রিটেন প্রবাসী বাংলাদেশি মোস্তফা কামাল খান বলেন, 'খরচ বৃদ্ধির কারণে প্রভাবটা জন্মহারে পড়েছে।'

ব্রিটেন প্রবাসী দেলোয়ার হোসাইন বলেন, 'জীবনযাত্রার যে মান বাচ্চাদের চাইল্ড কেয়ার খরচ, এইগুলো সব কিছু অসহনীয় পর্যায়ে চলে গিয়েছে।'

জনসংখ্যা বাড়াতে বিগত বছরগুলোতে অভিবাসনকে ব্যবহার করেছে ব্রিটেন। তবে, অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এ প্রক্রিয়ায় স্থায়ী কোন সমাধান আসবে না। বরং জন্মহার বাড়ানো না গেলে, সামনের দশকগুলোতে ব্রিটিশ অর্থনীতি ও শ্রমবাজারে ব্যাপক প্রভাব পড়ার শঙ্কা রয়েছে।

ব্রিটেনের লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রফেসর ড. মুশফিক উদ্দিন বলেন, 'এই সমস্যা দূর করার জন্য ইমিগ্রেন্টদের উপর নির্ভর হওয়া কিন্তু এটিও দীর্ঘমেয়াদীর জন্য খুব সুবিধার হবে না। কারণ হচ্ছে ইমিগ্রেন্টরা তারা উপাজর্নের বড় একটি অংশ দেশে পাঠিয়ে দেয়। আরেকটি হচ্ছে সরকারকে ট্যাক্সের সুবিধা দেওয়া উচিত যারা ফ্যামিলি করবে। এতে করে বাচ্চাদের চাইল্ড কেয়ারের উপরে প্রেশার কম হয়।'

এমন অবস্থায়, ব্রিটেনের বাজেটে ফ্রি চাইল্ড কেয়ারের ঘোষণা দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। এছাড়া, জন্মহার বাড়াতে আর্থিক সহায়তা দেয়ার মতো কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ফ্রান্স, ইতালির মতো ইউরোপীয় কিছু দেশ।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশের বয়স ৬৫ বছরের বেশি। আগামী কয়েক দশকে তা ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবার শঙ্কা আছে।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর