রাজনীতির নাটকীয় খেলায় প্রায় সবদিক দিয়ে ইমরান খানের দল পিটিআইসহ বিরোধীদের পরাস্ত করে পাকিস্তানের ক্ষমতা নিজেদের করে নিলো পিপিপি ও পিএমএল-এন। প্রধানমন্ত্রীর পর প্রেসিডেন্টের মসনদও জয় করলো ক্ষমতাসীন জোট।
সংবিধানের বিধান অনুযায়ী জাতীয় পরিষদ ও চার প্রাদেশিক পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্যদের ইলেক্টোরাল কলেজের মাধ্যমে দেশটির ১৪তম প্রেসিডেন্ট হলেন পিপলস পার্টির সহ-সভাপতি আসিফ আলী জারদারি। যেখানে সবমিলিয়ে জারদারি পেয়েছেন ৪১১ ভোট। আর কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের দল পিটিআই মনোনীত প্রার্থী মেহমুদ খান আচাকজাই পেয়েছেন ১৮১ ভোট।
এর মধ্যদিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হলেন পিপিপি নেতা আসিফ আলী জারদারি। এর আগে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এবার পিএমএল-এন নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের শরিক দলগুলো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে আসিফ আলী জারদারিকে সমর্থন দেয়ায় আগেই ধারণা করা হয়েছিল তিনিই হবেন পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট।
২৩০ ভোটে হেরে গেলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জারদারির প্রতিদ্বন্দ্বী আচাকজাই। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে জাতীয় পরিষদসহ সবগুলো প্রাদেশিক পরিষদে ভোট চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।