প্রথমে সংগ্রহ করা প্লাস্টিকগুলোকে ছোট করে কেটে নেয়া হয়। যা পরবর্তীতে গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়। নরম হওয়ার পর আবারও সাড়ে ৩ ইঞ্চি পরিমাপে কাটা হয়। সবশেষ বাঁশের লাঠির সঙ্গে বেঁধে ঝাড়ু তৈরি করা হয়।
উদ্যোক্তা হওয়ার আগে হাস কিয়া পেশায় একজন ঝাড়ু বিক্রেতা ছিলেন। ২০১০ সালে এ কাজে জড়িত হওয়ার পর তিনি জানতে পারেন কম্বোডিয়ায় ভালো মানের ঝাড়ু প্রতিবেশী ভিয়েতনাম ও থাইল্যান্ড থেকে আনা হয়। তাই একসময় নিজেই ঝাড়ু তৈরির কাজে লেগে পড়েন। এখন দলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে ২৮ জন। প্লাস্টিককে ঝাড়ুতে পরিণত করার ক্ষেত্রে মাথায় ছিলো পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের বিষয়টি। গেল বছরের মার্চ থেকে ৪০ টনের বেশি প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাত করেছে দলটি। সে হিসেবে প্রতিদিন ফেলে দেয়া ৫ হাজার বোতল ঝাড়ুতে পরিণত হয়েছে।
উদ্যোক্তা হাস কিয়া বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা ৪০ টনের বেশি প্লাস্টিক বোতলকে ঝাড়ুতে পরিণত করেছি। শক্তপোক্ত হওয়ায় গ্রাহকরাও ঝাড়ু পছন্দ করছেন, আমরা অর্থ উপার্জন করছি। একইসঙ্গে পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছি।
প্লাস্টিক বোতল প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে
কিয়ার দল প্রতিদিন প্রায় ৫০০টি প্লাস্টিকের ঝাড়ু তৈরি করতে পারে। প্রতিটি ঝাড়ু বিক্রি করা হয় ২৭৫ থেকে ৪২৫ টাকায়। সেক্ষেত্রে দৈনিক প্রায় ২ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করে দলটি। ঝাড়ু বিক্রেতা থেকে উদ্যোক্তা বনে যাওয়া কিয়া নিজ দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখতে চান।
হাস কিয়া আরও বলেন, দেশে প্লাস্টিকের দাম খুবই কম। আমাদের ২৫টি রাজ্য আছে। তাই প্লাস্টিকের যোগানও অনেক। পাশাপাশি বাঁশও হাতের নাগালে পাওয়া যায়। আমাকে দেখে অন্যরাও প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাত করতে পারেন। এতে পরিবেশ ও জনগণ, উভয়ই উপকৃত হবে।
এদিকে কিয়ার কাছ থেকে শক্তপোক্ত প্লাস্টিকের ঝাড়ু কিনে খুশি গ্রাহকরাও। এক ক্রেতা বলেন, বাঁশের লাঠি থেকে প্লাস্টিকগুলো খুলে পড়ছে না ও ঝাড়ুগুলো বেশ শক্ত।
নমপেনের পৌর পরিবেশ বিভাগের তথ্য বলছে, রাজধানীতে প্রতিদিন প্রায় ৪০ হাজার টন বর্জ্য তৈরি হয়। যার মধ্যে ২০ শতাংশই প্লাস্টিক। পরিবেশকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে কিয়ার মতো প্লাস্টিককে প্রক্রিয়াজাত করার ওপর জোর দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা।