ন্যাটো থেকে সেনা পাঠানো হবে ইউক্রেনে

বিদেশে এখন
0

রাশিয়া যেন কিয়েভকে পরাজিত করতে না পারে, সেজন্য ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। এমন মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ। রাশিয়া যাতে এ যুদ্ধে জিততে না পারে, সেজন্য সব পদক্ষেপ নেবে পশ্চিমা বিশ্ব।

সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের বড় পরাজয় আভদিভকার নিয়ন্ত্রণ হারানো। এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে পশ্চিমা বিশ্ব। গতকাল ২৬ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ইউক্রেনকে সহায়তা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দেয়া হয় বার্তা। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, ‘কিয়েভের সামরিক সংকট এখন সবচেয়ে জটিল ইস্যু। রাশিয়া যেন কোনোভাবে এ যুদ্ধে জিততে না পারে, সেজন্য সব পদক্ষেপ নেবে ইইউ। ন্যাটো থেকে সেনা পাঠানোর বিষয়টিও উড়িয়ে দেয়া যায় না।’

তিনি বলেন, ‘লক্ষ্য অর্জনের জন্য সব পথই খোলা রয়েছে। ইউক্রেনের আমাদের প্রয়োজন। এ যুদ্ধে রাশিয়ার যেকোনো মূল্যে জেতা উচিত না। আগে আর পরে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। কিন্তু নিজেদের নিরাপত্তায় হুমকি হলে ব্যবস্থা নেব। কখনো বলিনি, ফ্রান্স সেনা পাঠানোর পক্ষে না। পরিস্থিতি তৈরি হলে সেনা পাঠাতে হবে।’

যদিও দেশের পূর্বাঞ্চলে সমরাস্ত্র সংকটের কারণে কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছে কিয়েভ। নতুন করে ইউক্রেনকে কবে অস্ত্র সহায়তা দেয়া হবে সে বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আসেনি।

এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইউক্রেনকে ১০ লাখ আর্টিলারি শেল দেয়ার কথা ছিল। সেই কথা রাখতে পারেনি ইইউ। মাত্র ৩০ শতাংশ আর্টিলারি শেল পেয়েছে ইউক্রেন।’

তিনি বলেন, 'ইউরোপে ইউক্রেনের অবস্থান শক্তিশালী হওয়ার পেছনে রয়েছে আমাদের সক্ষমতা। কিন্তু যুদ্ধে জিততে দরকার সমরাস্ত্র, ইউরোপ থেকে যার পরিমাণ বাড়াতে হবে। রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে নিজেদের মুক্ত রাখতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। রাশিয়ার পরাজয় শুধু এ দেশকে শিক্ষা দিতে পারে।'

ইএ