করোনা মহামারিতে বিভিন্ন শিল্পখাত সুবিধা করতে না পারলেও ভিন্ন ছিল প্রযুক্তি খাত। নানা প্রতিবন্ধকতায় ভালো মুনাফাও করেছে প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে ধীর প্রবৃদ্ধি, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কায় ২০২২ সাল থেকে কর্মী ছাঁটাই শুরু করে টেক জায়ান্টসহ নানা প্রতিষ্ঠান, যে ধারাবাহিকতা এখনও চলছে।
তথ্য বলছে, চলতি বছরের শুরুতেই ৮৫টি টেক প্রতিষ্ঠান ছাঁটাই করেছে ২০ হাজারের বেশি কর্মী। নতুন করে কর্মী কমানোর ঘোষণা দিয়েছে প্রযুক্তি জায়ান্ট মাইক্রোসফট। নতুন এক পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির গেমিং ডিভিশন থেকে কাজ হারাতে চলেছেন ১ হাজার ৯০০ জন কর্মী।
মাইক্রোসফটের পথেই হাঁটছে আরেক টেক জায়ান্ট অ্যামাজন। প্রতিষ্ঠানটি অডিও বুক, ব্রডকাস্ট বিভাগ, স্ট্রিমিং ইউনিট ও বাই উইথ প্রাইম বিভাগ থেকেও কর্মী ছাটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে। কর্মীসংখ্যা হ্রাস করবে আরেক প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান গুগল। অ্যালফাবেটের নতুন প্রযুক্তি উন্নয়ন বিভাগ এক্সল্যাব থেকে কমানো হবে কর্মচারীর সংখ্যা। হার্ডওয়্যারসহ বিজ্ঞাপন কর্মী কমানোর ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাগুলোতেও ছাঁটাই অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে এক হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইবে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও জানান, প্রাতিষ্ঠানিক খরচ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত। এদিকে কোম্পানি পুনর্গঠনের জন্য এক হাজারের বেশি কর্মী ছাটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন ভারতীয় ই-কর্মাস জায়ান্ট ফ্লিপকার্ট।
এক প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, কর্মী ছাঁটাই একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আর্থিক সংকটের কারণে, আগামী মাস থেকে ৪শ’ কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছে বেঙ্গালুরু ভিক্তিক ভারতীয় ফুড ডেলিভারি কোম্পানি সুইগি।
এদিকে ৫শ' কর্মী ছাঁটাই করবে টেনসেন্টের মালিকানাধীন রায়ট গেমস। আর ২৫ শতাংশ কর্মী বাদ দেয়া পরিকল্পনা করছে ভিডিও গেম সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিটি সফটওয়্যার। ফলে চাকরি হারানোর শঙ্কায় প্রতিষ্ঠানটির ১ হাজার ৮শ’ জন। এদিকে বিজ্ঞাপন বিভাগ থেকে ৬০ জন কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটক।