কিন্তু বৈজ্ঞানিক সেই প্রচেষ্টা গড়ায় প্রায় তিন বছরে। একে একে ৭২টি ফ্লাইট সম্পন্ন করতে সক্ষম হয় নাসা’র ছোট্ট হেলিকপ্টারটি। কয়েকটি ফ্লাইট এতো দূরত্বে উড়েছিল, যা পরিকল্পনার চেয়েও ১৪ গুণ বেশি ছিল।
নাসা বলছে, বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কিভাবে ফ্লাইট অপারেশনাল মিশন বাড়ানো যায়, মঙ্গলগ্রহে তাই করে দেখিয়েছে সৌরচালিত হেলিকপ্টার। প্রাণের সন্ধানে গ্রহটিতে বিজ্ঞানীদের দেখিয়ে দেয়া জায়গায় উড়ে বেরিয়েছে ইনজেনুইটি। ছবি তুলে ও তথ্য বিশ্লেষণ করে পাঠিয়েছে পৃথিবীতে।
মঙ্গলগ্রহের প্রাচীন লেক জেজিরো ক্রেট এবং রিভার ডেল্টার ওপর দিয়ে বহুবার উড়েছে ইনজেনুইটি। রোভারের সঙ্গে মিলে এটি সেসব এলাকার বেশকিছু নমুনাও সংগ্রহ করেছে। ভবিষ্যতে মঙ্গলে কোন মিশন পরিচালনা করা হলে সেসব নমুনা পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। যা থেকে গ্রহটিতে প্রাণ অস্তিত্বের ব্যাপারে জানতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
৭১তম ফ্লাইটে হেলিকপ্টারটি জরুরি অবতরণ করে। সবশেষ ১৮ জানুয়ারি ৭২তম ফ্লাইটের সময় এর সাথে বিজ্ঞানীদের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের পর হেলিকপ্টারটির পাঠানো ছবিতে দেখা যায় এর এক বা একাধিক পাখা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় তিন বছরের যাত্রা। নাসা বলছে, ইনজেনুইটির সফলতা সৌরজগতে ভবিষ্যৎ ফ্লাইটের পথ তৈরি করেছে।
নাসা’র প্রশাসক বিল নেলসন বলেন, মঙ্গলগ্রহে ফ্লাইট শেষ করেছে হেলিকপ্টারটি। এটি যখন অবতরণের জন্য নামছিল তখন একটি কার্বন ফাইবার রোটর ব্লেড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা ব্লেডগুলো মাটিতে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা তদন্ত করছি। ইনজেনুইটি ১ শতাংশ বায়ুমণ্ডল ভেদ করে উড়তে সক্ষম ছিল।
তবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শেষ হলেও এখনই বন্ধ হচ্ছে না ইনজেনুইটি। সেটি নিয়ে আরও কিছুদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন বিজ্ঞানীরা। এরইমধ্যে হেলিকপ্টারের অবশিষ্ট তথ্য ও ছবি ডাউনলোড করা হচ্ছে।