জার্মানির দাবি- এই আশঙ্কা সত্যি হতে যাচ্ছে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোপন নথি বলছে, চলতি বছরই রাশিয়া ন্যাটো সদস্য দেশে হামলা করতে পারে, এমন তথ্যে নিজেদের সামরিক সক্ষমতা জোরদার করছে জার্মানি। মার্কিন অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লেফটেনেন্ট জেনারেল বেন হোজস জানান রাশিয়াকে এখনও হালকাভাবে নিলে ১৮ মাসের মধ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে।
জার্মানির বিলড পত্রিকায় উঠে এসেছে রাশিয়ার ন্যাটো সদস্য দেশে হামলা পরিকল্পনার বিস্তারিত। এরমধ্যে রুশ 'অ্যালায়েন্স ডিফেন্স ২০২৫' শুরু হতে পারে ফেব্রুয়ারিতেই অতিরিক্ত আরও ২ লাখ সেনা নিয়ে।
ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমাদের অস্ত্র সহায়তা সীমিত হয়ে আসায় শীত শেষ হলে ইউক্রেনে হামলা জোরদার করবে রাশিয়া। বিলড সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে বাল্টিক রাষ্ট্র লাটভিয়া, এস্তোনিয়া ও লিথুয়ানিয়ায় সাইবার রাশিয়া হামলা চালাবে।
এই দ্বন্দ্ব চলা অবস্থায় সেপ্টেম্বরে সবচেয়ে বড় সেনা অভিযান 'জাপাদ ২০২৪' শুরু করবে রাশিয়া। এসময় ৫০ হাজার রুশ সেনা বেলারুশে প্রবেশ করবে। কালিনিনগ্রাদে সেনা আর ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে যেতে পারে মস্কো। রুশ এই অঞ্চলটি মূল ভূখণ্ড থেকে দূরে ৮৬ স্কয়ার মাইল এলাকার একটি অঞ্চল।
যার দুইপাশে অবস্থিত লিথুয়ানিয়া আর পোল্যান্ড, দুই দেশই ন্যাটোর সদস্য। কালিনিনগ্রাদ রুশ অধ্যুষিত বাল্টিক সাগরে অবস্থিত একটি অঞ্চল। কালিনিনগ্রাদে বোমা হামলা করে দায় ন্যাটোর ওপর চাপাতে পারে মস্কো।
মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হেরে গেলে কয়েকদিনের নেতৃত্বশূন্যতার সুবিধা নিয়ে রাশিয়া দাবি করবে, বেলারুশ আর কালিনিনগ্রাদের মাঝের পলিশ-লিথুয়ানিয়ান করিডোর সুওয়াল্কি গ্যাপ দখলে নিতে বাধ্য হয়েছে মস্কো।
এরপর ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়া অভিযোগ করবে, ন্যাটো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে প্লট সাজিয়েছে। মার্চে বেলারুশ আর বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতে নিজেদের সেনাবাহিনী পরিচালনা করবে রাশিয়া। মে মাস নাগাদ পুরোদমে ন্যাটো আর রাশিয়ার মাঝে সংঘাত তৈরি হবে।