বছরের শেষ দিন রাশিয়ার সীমান্ত শহর বেলগোরোদে ড্রোন হামলায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিবাদে বছরের প্রথম দিনই ইউক্রেনজুড়ে ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালায় মস্কো।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনীর দাবি, রাশিয়ার ছোড়া ৪৯টি ড্রোনের মধ্যে ২১টি ধ্বংস করেছে তারা। এসব হামলায় ১২টি আবাসিক ভবন, হাসপাতাল, হোটেল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক এলাকাসহ একটি গ্যাসলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া খারকিভ, খেরসন, মাইকোলাইভ ও জাপোরিঝিয়ার বেশকিছু অঞ্চলে একযোগে এ হামলা হয়।
নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। নতুন বছরে মিত্রদের কাছ থেকে অব্যাহত সামরিক সহায়তা চান তিনি।
ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, 'আমাদের দেশকে যারা নরক বানিয়েছে তারা একদিন নতুন ইউক্রেনকে দেখবে। নতুন বছরে আমরা আরও সাহসী পদক্ষেপ নেবো। নিজের দেশ রক্ষা, দেশের জন্য কাজ করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে লড়াই করে যাবো আমরা।'
অন্যদিকে জাতীয় ঐক্য, স্বার্থ, দেশের নিরাপত্তা ও মূল্যবোধ রক্ষায় জনগণের শক্তিশালী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, কঠিন পরিস্থিতিতে জনগণ ঐক্যবদ্ধ ছিল, এটিই রাশিয়ার শক্তি।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, 'নতুন বছরে প্রতিটি রুশ পরিবারকে শুভকামনা জানাচ্ছি। আমরা একটি বড় পরিবার। রাশিয়ার উন্নয়ন ও জনগণের মঙ্গল নিশ্চিতে আমরা আরও শক্তিশালী হবো। সত্য ও ন্যায়ের জন্য যারা লড়াই করছে তারা প্রত্যেকে একেকজন বীর।'
আগামী মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ছেন ৭১ বছর বয়সী ভ্লাদিমির পুতিন। নতুন বছরের শুভেচ্ছায় ইউক্রেনে চলমান সামরিক অভিযানের বিষয়টি অনেকটা পাশ কাটিয়ে যান তিনি। জাতীয়তাবাদ, দেশের অর্থনীতি ও মুদ্রাস্ফীতির উপর জোর দেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ দুই বছরে গড়াবে ফেব্রুয়ারিতে। এরইমধ্যে ইউক্রেনের প্রায় ১৮ শতাংশ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে রুশ সেনাদের হাতে। এ অঞ্চলগুলোতে রাশিয়ার অবস্থান আরও পোক্ত করতে চান পুতিন। এদিকে চলমান যুদ্ধে এখনো আশানুরূপ সাফল্য পায়নি ইউক্রেন।