আমের জেলায় এই প্রথম কমলালেবু চাষ করে সাড়া ফেলে দিয়েছেন পুরাতন মালদার দীপক রাজবংশী। ছাদবাগানে মাটির টবে কমলা ফলানো নতুন না হলেও জেলা শহরটির জমিতে মিষ্টি কমলার ফলন নজিরবিহীন।
দীপক রাজবংশী বলেন, তার বাগানে চলতি মৌসুমে দেড় কুইন্টালের ওপর কমলা ফলেছে। আকারে দার্জিলিংয়ের কমলার চেয়ে সামান্য ছোট এ কমলা স্বাদে বেশ মিষ্টি, রাজ্যের কানপুর গ্রামের কমলার চেয়ে সুস্বাদু।
বর্তমানে কমলার আকার বড় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। কোন রাসায়নিক নয়, সার হিসেবে ব্যবহার করছেন গোবর, ভার্মি কম্পোস্ট, নিম খইলের মিশ্রণ ইত্যাদি। কীটনাশকও তার নিজের হাতে তৈরি ভেষজ।
দীপক আরও বলেন, 'মানুষকে খাওয়ানো কিংবা নিজের খাওয়ার জন্য হোক সবসময় উৎকৃষ্ট ফল ফলানোই আমার লক্ষ্য থাকে।'
নদীয়ার রানাঘাটের এক নার্সারি থেকে ভুটানি কমলার ১০টি চারা কিনে মালদায় বাড়ির কাছে নিজের জমিতে বছর চারেক আগে সেগুলো রোপন করেন দীপক। বর্তমানে সাত ফুট উচ্চতার গাছগুলো গত বছর থেকে ফল দেয়া শুরু করে।
এপ্রিলের শুরুতে ফুল আসা শুরু হয়, ফল পাকতে শুরু করে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। একেকটি গাছ থেকে কমলা মিলছে ২০ থেকে ২৫ কেজি করে।
নিজের বাগানের কমলা এখনও বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু না করলেও দীপকের লক্ষ্য বড়। আকার বাড়িয়ে তবেই শুরু করবেন বাণিজ্যিক উৎপাদন। জেলার কয়েকজন ফল ব্যবসায়ীকে ভারতীয় মুদ্রায় ৩০ থেকে ৩৫ রুপি কিলো দরে কমলা বিক্রি করেছেন দীপক। পেয়েছেন ভালো সাড়াও।
ব্যবসায়ী নেতা উজ্জ্বল সাহা এখন টেলিভিশনকে বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে ডিএম স্যারের সাথে কথা বলেছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করা হবে। কমলা চাষের মাধ্যমে আমাদের চাষিরা আরও সমৃদ্ধ হবে আশা করি।'
দীপকের প্রাথমিক সাফল্যে কমলা চাষে আশাবাদী হচ্ছেন জেলার অন্যান্য কৃষকরাও।