জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে বায়ুমণ্ডলে বাড়ছে গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্য, কৃষি ও পরিবেশের উপর। কার্বন-ডাই–অক্সাইডের দূষণ গত বছর ১.১ শতাংশ বেড়েছে। জলবায়ু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সীমা ছাড়িয়ে যাবে।
জাতিসংঘের চলমান জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে কয়লা, তেল ও গ্যাস দূষণের বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যৎ নিয়ে কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার চেষ্টা চলছে।
সম্প্রতি বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুধু গত দশকই নয়, এই দশকেও পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি বজায় থাকবে। কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির কারণে বায়ুমণ্ডলে গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব বাড়ছে। এতে দিন দিন বাড়ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা।
বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল এলিনা মানেনকোভা বলেন, ‘কয়েক দশক ধরেই পৃথিবীর তাপমাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। বেশকিছু প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং চরম আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন আমরা দেখেছি। যা বিশ্বের জন্য উদ্বেগের কারণ।’
পৃথিবী যত উষ্ণ হচ্ছে, ততই হুমকিতে পড়ছে চারপাশের পরিবেশ ও মানুষ। দাবানল, তাপদাহ, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা-খরা ইত্যাদি পৃথিবীকে বিপজ্জনক করে তুলছে।
জলবায়ু পরিবর্তনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে, দেখা দিচ্ছে খাদ্য সংকট। উদ্বাস্তু হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ। খাদ্য ও সুপেয় পানির সংকটের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও জীবিকার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বাড়ছে রোগ-ব্যাধির প্রকোপ।
ফসলের মাঠ শুকিয়ে যাচ্ছে। পর্যাপ্ত পানির অভাবে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। এদিকে হিমবাহ ও সামুদ্রিক বরফ গলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে। প্লাবিত হচ্ছে জনপদ। পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে ছোট-বড় সব দেশকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেন জলবায়ুবিজ্ঞানীরা।





