বাজার , স্বর্ণের বাজার
আন্তর্জাতিক বাণিজ্য
0

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে রেকর্ড

ভূরাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে স্বর্ণের দাম। চলতি সপ্তাহেই বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম পৌঁছেছে রেকর্ড উচ্চতায়। বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, মূল্যবান এই ধাতুটির উর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে আগামী বছরও। এসময় প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ছাড়াতে পারে তিন হাজার ডলার।

বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান ধাতু স্বর্ণ। আর এই মূল্যবান ধাতুর দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চে পৌঁছায় সোমবার (১৯ আগস্ট)। বর্তমানে এক আউন্স স্বর্ণের স্পট প্রাইস ২ হাজার ৫০০ ডলারের ওপরে। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো স্বর্ণের বারের দাম ছাড়িয়েছে এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ ডলার।

মাত্র এক বছরে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। আগামী সেপ্টেম্বরে নীতি সুদ হার নিয়ে মাসিক বৈঠক করবে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের বৈঠকে সুদের হার কমিয়ে আনা হতে পারে পাঁচ শতাংশে। এতে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম ২ হাজার ৭০০ ডলার ছাড়াতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিএমআই।

স্বর্ণের দাম ওঠা নামার প্রধান প্রভাবক ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। মহামারি ও যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে যা দেখা যাচ্ছে গেলো কয়েক বছর ধরেই। অনিশ্চয়তা বাড়ার সঙ্গে শঙ্কা থাকে আন্তর্জাতিক মুদ্রার দর পতনের। এজন্য ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো কিনে রাখে স্বর্ণের মতো মূল্যবান ধাতু। টানা ১৭ মাস ধরে স্বর্ণের মজু বাড়াচ্ছে চীন। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের জরিপ বলছে, চলতি বছর স্বর্ণের মজুত বাড়াতে পারে বিশ্বের ২৯ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

শুধু অলংকার বানানোর জন্যই নয়, স্বর্ণের রয়েছে বহুবিধ ভূমিকা। বিনিয়োগের সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয় স্বর্ণকে। ঋণে সুদ হার কমার সঙ্গে স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা লক্ষণীয়। কারণ সুদ হার কমার কারণে বন্ডের তুলনায় স্বর্ণের ওপর বিনিয়োগে আগ্রহী থাকে জনগণ। একইসঙ্গে মূল্যস্ফীতি বাড়লে স্বর্ণের দামও বাড়ে। তাই, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াইয়ে অন্যান্য সম্পদের তুলনায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে স্বর্ণ।

বাজার বিশ্লেষকদের ধারণা, স্বর্ণের দরের ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকবে আগামী বছরও। প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম তিন হাজার ডলার ছুঁতে পারে ২০২৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর