৩৫ শতাংশ মার্কিন শুল্কের বিশাল চাপে অর্থনৈতিক সংকটে কানাডার

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পতাকা
যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার পতাকা | ছবি: সংগৃহীত
0

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক আলোচনায় বাংলাদেশ সফল তবে ব্যর্থ কানাডা। ৩৫ শতাংশ মার্কিন শুল্কের বিশাল চাপ পড়েছে দেশটির কাঁধে। এ করে অর্থনৈতিক সংকট আরও প্রকট হওয়ার শঙ্কা বিশ্লেষকদের। নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে চাকরির বাজারে। সংকটে হিমশিম অবস্থা প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অন্যান্য অভিবাসীদের। মন্দা মোকাবিলায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে আবারও আলোচনা চালিয়ে নিতে চান বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি।

অনেকদিন ধরেই মন্দার কবলে কানাডার অর্থনীতি। যা নিয়ে চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন জাস্টিন ট্রুডো। যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা শুল্কের কারণে নতুন সরকারও ব্যাপক চাপের মুখোমুখি পড়েছে। বাণিজ্য ইস্যুতে মার্ক কার্নি সরকার দফায় দফায় বৈঠক করেও অগ্রগতি না হলে, পহেলা আগস্ট থেকে কার্যকর হয়েছে ৩৫ শতাংশ শুল্ক।

হোয়াইট হাউসের আচরণে হতাশ কানাডা সরকার। আলোচনা আবারও চালিয়ে নিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। কারণ অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি আর চাকরির বাজার একেবারেই নাজুক। এ বিষয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও কটাক্ষ করে বলেছেন ঠিকমতো দেশ চালাতে পারছে না কানাডা সরকার।

কানাডার যেসব পণ্য ইউএসএমসিএ (যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডা) বাণিজ্য চুক্তির আওতায় পড়ে না, সেসব পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী, জ্বালানি পণ্যের ১০০ শতাংশ এবং অন্যান্য পণ্যের ৯৫ শতাংশ এই চুক্তির আওতায় আছে।

কানাডা অর্থনৈতিক বিশ্লেষক শওগাত আলী সাগর বলেন, ‘হিসাব নিকাশ করে দেখা যায় ৯০ শতাংশ পণ্য শুল্ক মুক্ত যাচ্ছে। মোটামুটি গড় করলে দেখা যায় ক্যানাডিয়ান পণ্যর উপর যে শুল্ক থাকে তা খুব বেশি কানাডার উপর প্রভাব ফেলেনি। তবে কানাডার ব্যবসায়ীরা সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের অভাবে উদ্বিগ্ন ছিলেন যা কানাডার অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলেছে।’

প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, কানাডার অর্থনীতির কিছু খাত যেমন-কাঠ, ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ি। এ নতুন শুল্কের কারণে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ সব খাতের পণ্য রপ্তানির জন্য নতুন বাজার খুঁজতে কাজ করছে অটোয়া।

শুল্ক বৃদ্ধির বিষয়ে ট্রাম্পের দেয়া যুক্তিরও সমালোচনা করেছেন কার্নি। ট্রাম্প মাদক আমদানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। জবাবে কার্নি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ ফেন্টানিল ঢোকে, তার মাত্র ১ শতাংশ কানাডা থেকে যায়। অটোয়া এই পরিমাণ আরও কমানোর জন্য কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। অবৈধ অভিবাসী যেন না যেতে পারে, এ জন্য সীমান্তে চলছে নজরদারি।

কানাডা অর্থনৈতিক বিশ্লেষক শওগাত আলী সাগর আরও বলেন, ‘সরকার প্রধানের মধ্যে টেলিফোনে বা কোনো ধরনের যোগাযোগের শিডিউল করা হয়েছে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি তবে ধারণা করা হচ্ছে সামনের দিনগুলোতে এ আলোচনা আরো চলতে থাকবে।’

সেজু