বিশ্বে সর্বাধিক ব্যবহৃত যাত্রীবাহী বিমানগুলোর একটি বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন এইট জিরো জিরো। একেকটি বিমান প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করে। বিশ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমানগুলোর একটি এই বিমান, ২০ বছর ধরে উড়ছে আকাশে। তবে বোয়িংয়ের সেভেন থ্রি সেভেন সিরিজের বিমান ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হওয়ায় এই বিমান নিয়ে রয়েছে বিতর্কও।
দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, উড্ডয়নের আগেও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল জেজু এয়ার পরিচালিত বোয়িংয়ের এই বিমান। পাশাপাশি আবহাওয়া ছিল চমৎকার। যে কারণে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাকে অস্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন তারা।
জেজু এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমান বিধ্বস্তের কারণ নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা। তবে মুয়ান বিমানবন্দরের এই দুর্ঘটনা পাখির কারণেও হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় সবচেয়ে সাশ্রয়ী মূল্যে বিমান ভ্রমণ সেবা দেয় এই এয়ারলাইন্স।
তারা আরও আশঙ্কা করছেন, ল্যান্ডিং গিয়ারে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তবে বোয়িং সেভেন থ্রি সেভেন ম্যাক্স মডেলের বিমান নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক থাকায় বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা।
গেলো তিন দশকের মধ্যে ২০২৪ সালের শেষে এসে এতো ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়লো দক্ষিণ কোরিয়া। বিমানের পেছনের অংশ কিছুটা শনাক্ত করা সম্ভব হলেও সামনের অংশ শনাক্ত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে। এর আগে ১৯৯৭ সালে গুয়ামে কোরিয়ান এয়ারের বিমান দুর্ঘটনায় ২ শতাধিক যাত্রীর মৃত্যু হয়।