গেল কয়েক সপ্তাহ ধরেই দরপতনের শিকার হচ্ছিলো ভারতীয় মুদ্রা। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্রিকস মুদ্রা নিয়ে মন্তব্য, ইউরোপের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, নয়াদিল্লির মন্থর অর্থনীতি ও বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহে সংকোচনের কারণে ডলারের বিপরীতে দুর্বল হচ্ছে রুপি।
বাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ ও ডলার বিক্রির মাধ্যমে ঠেকানো হচ্ছে রুপির পতন। ধারণা করা হচ্ছে, ফেব্রুয়ারির বৈঠকে কমানো হতে পারে নীতি সুদ হার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সুদ হার কমানোর মাধ্যমে প্রবৃদ্ধিভিত্তিক মুদ্রানীতি গ্রহণ করলে ভারতীয় মুদ্রার মান আরও কমতে পারে। যা আগামী মার্চে ছাড়াতে পারে ৮৬ রুপি।
এর আগে গেল ৪ ডিসেম্বর ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির মান কমেছিল। সেসময় ডলারের বিপরীতে রুপির দর ৮৪ দশমিক সাত পাঁচে নেমেছিল। এবার সেটিকে ছাড়িয়ে ৮৪.৮৫ রুপির বিপরীতে মিলছে এক ডলার।
গেল কয়েক মাস ধরে, অর্থনৈতিকভাবে চাপে আছে পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ভারত। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগে যেখানে পূর্বাভাস ছিল চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের বেশি হবে, সেখানে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ হারে। যা গেল ১৮ মাসের হিসেবে সর্বনিম্ন।