আধুনিক মোবাইল ফোন প্রযুক্তির সূতিকাগার দ্য নর্ডিক মোবাইল টেলিকম প্রতিষ্ঠা পায় ১৯৬৯ সালে। শুরু থেকেই প্রতিষ্ঠানটি মোবাইল ফোনের ওয়্যারলেস টেকনোলজি উন্নয়নের জন্য কাজ করছিল। অতিরিক্ত ওজন ও আকৃতির কারণে তখনও মোবাইল ফোনের ধারণা জনসাধারণের কাছে তেমন পরিচিতি পায়নি।
১৯৭৩ সালে প্রথম হাতে বহনযোগ্য মোবাইল ফোন বাজারে নিয়ে আসে মটোরোলা, যার ওজন ছিল ১ কেজি ১০০ গ্রামের মতো। সেসসময় এটি কিনতে পকেট থেকে চার হাজার ইউএস ডলারের মতো খসাতে হতো। পরবর্তীতে এই মটোরোলাই এর আধুনিক সংস্করণ হিসেবে ১৯৮৭ সালে মটোরোলা ডায়ান্টাক ৮০০০এক্স বাজারে নিয়ে আসে। এই সময়েই জিএসএম টেকনোলজি আবিষ্কার ও ব্যবহার শুরু হয়। সেই সাথে তরতর করে বেড়ে উঠতে থাকে মোবাইল প্রযুক্তির উৎকর্ষতা।
আগে যেখানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার শুধু কথা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, ১৯৯২ সাল সেখানে পৃথিবীতে প্রথম SMS সার্ভিস শুরু হয়। ১৯৯৬-৯৭ সালে ইংল্যান্ডে যেখানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী সংখ্যা ১৬% ছিল, এক দশক পর সেই অঙ্ক গিয়ে দাঁড়ায় ৮০ শতাংশেরও বেশি। অন্যান্য উন্নত বিশ্বেও এর চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলছিল। এর পেছনে অবদান অবশ্য টেলিকম কোম্পানিগুলোর কিছু নীতি।
সিমেন্স এস ১০ ছিল মোবাইল ইতিহাসে সর্বপ্রথম কালার্ড ডিসপ্লে ফোন; এর ডিসপ্লে রেজুলেশনও ছিল সেসময় সেরা। এছাড়া নোকিয়া ৫১১০, নোকিয়া ৭১১০ মডেলের মোবাইল ফোনগুলোও তখন প্রযুক্তির সেরা সব ফিচার নিয়ে আসে।
প্রতিযোগিতা তুঙ্গে নিয়ে যায় ব্ল্যাকবেরি কোম্পানির বাজারে ছাড়া প্রথম মোবাইল ফোন। বিশ্বখ্যাত এই কোম্পানির মোবাইল ফোনের যে উদ্ভাবন তাদের সাফল্য এনে দেয়, তা হলো ইমেইলের সুবিধা।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুর বছরে মোবাইল প্রযুক্তি শুরু করে নতুনভাবে পথচলা। মোবাইল ফোন প্রস্ততকারক কোম্পানিগুলো একের পর এক নতুন নতুন মডেল এনে বিশ্বজুড়ে তাক লাগিয়ে দেয়। ২০০৩ সালের দিকে চালু হয় থ্রি-জি প্রযুক্তি। এর সাথে সাথে ইতি ঘটে মোবাইল প্রযুক্তির মধ্যযুগের।
২০০৭-০৯ সাল; এই তিন বছরে মোবাইল প্রযুক্তির যে পরিমাণ অগ্রযাত্রা হয়েছে, তা বিগত ৩০ বছরকেও ছাড়িয়ে যায়। ২০০৭ সালে টেক জায়ান্ট অ্যাপল তাদের প্রথম স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ে। এর এক বছর পর অ্যান্ড্রয়েড ফোনও বাজারে চলে আসে। ধীরে ধীরে ব্ল্যাকবেরি, নোকিয়া, এরিকসনের মতো নামীদামী টেলিকম জায়ান্টগুলোর জনপ্রিয়তা নিভু নিভু হয়ে আসছিল। আইওএস আর অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে তখন এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসে।
২০০৯ সালে ইন্টারনেট জগত থ্রি-জি থেকে ফোর-জি'তে পরিণত হয়। সেসময় হুয়াওয়ে তাদের মোবাইল ফোনে ফোর-জি ও এলটিই কম্বো সার্ভিস নিয়ে আসে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে একেবারে ১৫০ এমবিপিএস পর্যন্ত ডাউনলোড স্পিড তোলা যেত।
২০১৯ সালে মোবাইল ফোনে আসে ফাইভ জি টেকনোলজি। স্যামসাং প্রথম 5G-সক্ষম স্মার্টফোন বাজারে আনে। ফাইভ জি সক্ষম স্যামসাং এর ফোনটি ছিল





