জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সোমবার উদ্বোধন করা হয়েছে আইফোন সিক্সটিন। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমগুলোর খবরের শীর্ষে ছিলো অ্যাপলের মুঠোফোনের ষোলতম সংস্করণের খুঁটিনাটি। তবে সিক্সটিনের আত্মপ্রকাশের রেশ কাটতে না কাটতেই দুঃসংবাদ পেলো টিম কুকের প্রতিষ্ঠান।
আয়ারল্যান্ডকে ফাঁকি দেয়া ১ হাজার ৪শ কোটি ডলার জরিমানা অ্যাপলকে পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিস। ৮ বছর ধরে চলা মামলাটির রায় দিয়েছে ইইউ'র শীর্ষ আদালত।
২০১৬ সালে মামলাটি দায়ের করে ইউরোপিয়ান কমিশন, যেখানে অভিযোগ করা হয়, দীর্ঘদিন ধরে অ্যাপলকে অবৈধ ট্যাক্স সুবিধা দিয়ে আসছিলো আইরিশ সরকার।
এমনকি মামলা চলাকালীন আইফোন নির্মাতার কাছ থেকে ফাঁকি দেয়া করের অর্থ পরিশোধের দাবি জানায়নি ডাবলিন। কারণ অবৈধ সুবিধার কারণেই ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় পরিচালনার জন্য অ্যাপলের সদরদপ্তর তৈরি করা হয় আয়ারল্যান্ডে। রাষ্ট্রের অর্থ ফিরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে এই মামলা উদাহরণ তৈরি করবে বলে দাবি ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রধানের।
ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা কমিশনের কমিশনার মার্গেট ভেস্টেজার বলেন,‘আমাদের তদন্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে মানসিক পরিবর্তন, মনোভাবের পরিবর্তনে অবদান রেখেছে। তারা নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের কাজ ত্বরান্বিত ও আইনের সংস্কারের বিষয়ে সহায়তা করেছে।’
রায়ে হতাশা ব্যক্ত করেছে অ্যাপল। এক বিবৃতিতে জানায়, ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে কখনোই কর ফাঁকি দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। শুধু অ্যাপলই নয়, মঙ্গলবার দুঃস্বপ্ন ছিলো গুগলের জন্যেও।
গুগলের একচেটিয়া আধিপত্যের কারণে বাজারে পণ্যের মূল্য তুলনা পরিষেবা সঠিকভাবে হচ্ছে না, এই অভিযোগে একই পরিষেবা দেয়া দুটি প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেম ও কেলকো গুগলের বিরুদ্ধে মামলা করে ২০০৯ সালে।
১৫ বছরের আইনি লড়াই শেষে মার্কিন টেক জায়ান্টকে ২৭০ কোটি ডলার জরিমানার রায় দিয়েছে ইউরোপিয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রধানের আশা, রায়ের ফলে ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের সূচনা তৈরি হবে।
মার্গেট ভেস্টেজার বলেন, ‘পালাবদলের ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে গুগল শপিং মামলাটি। বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ডিজিটাল মার্কেটপ্লেসে সমতা তৈরির ক্ষেত্রে রায়টি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’
অ্যাপলের মতো ইইউর শীর্ষ আদালতের রায়ে হতাশা প্রকাশ করেছে গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেট। গুগলের বিরুদ্ধে দুটি মামলার আপিল চলছে ইউরোপীয়ান কোর্ট অব জাস্টিসে। এছাড়া আইফোনের নীতি নিয়ে মার্কিন আদালতেও মামলা চলছে অ্যাপলের বিরুদ্ধে।