চুম্বক শক্তির বিকর্ষণ কাজে লাগিয়ে ঘুরছে মটর। সেখান থেকে উৎপাদন হচ্ছে বিদ্যুৎ। পরে এই বিদ্যুৎ জমা হচ্ছে নির্ধারিত ব্যাটারিতে। আর তাতেই জ্বলছে বাতি, চলছে বৈদ্যুতিক পাখা।
আরেক স্টলে দেখা যায়, একটু ভিন্নধর্মী উদ্ভাবন। মহাসড়কে ঘুমন্ত গাড়ি চালককে বাঁচাতে বানানো হয়েছে চশমা। যার সেন্সর যুক্ত থাকবে গাড়ির ইঞ্জিনের সাথে। চালক ঘুমিয়ে কিংবা অসুস্থ হলেই বন্ধ হয়ে যাবে গাড়ির ইঞ্জিন, দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবেন চালক। এমন ৭০টির বেশি উদ্ভাবন নিয়ে চলছে শেরপুরে দু'দিনব্যাপী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা।
মেলায় স্থান পেয়েছে নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩০টি গবেষণা স্টল।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, 'এয়ার পাম্প দিয়ে আমরা বাতাস দিলে এখানে পেট্রোলের মধ্যে বুদবুদ উঠবে। এই বাতাসটা পরে পানিতে গিয়ে রিফান্ড হবে। এ থেকে আমরা সহজলভ্য ও সাশ্যয়ী জ্বালানী গ্যাস পেতে পারি।'
একজন শিক্ষক বলেন, 'বর্তমান যুগ বিজ্ঞানের যুগ। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আমরা কাজ করছি। এ ধরনের আয়োজন হলে ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞানে উন্নতি করবে এবং দেশ এগিয়ে যাবে।'
শিক্ষার্থীদের এমন উদ্ভাবন দেখে প্রশংসা করেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরা। এমন আয়োজন হলে শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে উৎসাহিত হবে বলে মনে করেন তারা।
শেরপুর-১ এর সংসদ সদস্য মো. ছানুয়ার হোসেন ছানু বলেন, 'এ দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যে উদ্ভাবনীর আয়োজন করেছেন। এই মেলার বিভিন্ন স্টল দেখে অত্যন্ত আনন্দিগত হয়েছি।'
আয়োজকরা বলছেন রকম আয়োজন শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহযোগিতা করবে এবং এসব উদ্ভাবন সহায়ক হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে।