আজ (বুধবার, ১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে হ্যান্ডসেট উৎপাদক, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও মোবাইল ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সরকার ও মোবাইল ব্যবসায়ীদের পক্ষ-বিপক্ষের আলোচনায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগাযোগ সচিব আব্দুন নাসের খানের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এমআইওবি) ও মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) শীর্ষ নেতারা ছাড়াও এনবিআর, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কমিশনার মাহমুদ হোসেন, স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন।
এমবিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বৈঠকে ছয় মাসের জন্য এনইআইআর বাস্তবায়ন পেছানোর দাবি করেন তারা। তবে তা যৌক্তিকতায় না টেকায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা মোবাইল হ্যান্ডসেট বিক্রি তিন মাস পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
আরও পড়ুন:
অর্থাৎ নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আনঅফিশিয়াল ফোন বিক্রির জন্য বিক্রেতারা মার্চ মাস পর্যন্ত সময় পাবেন। তার মানে আগামী মার্চ পর্যন্ত আনঅফিশিয়াল ফোন কিনলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেটি নিবন্ধিত হবে।
পরে রাতে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়, মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির তিনদিন ধারাবাহিক আলোচনা শেষে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ১৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগামী বছরের ১৫ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, আগামী ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির নেতারা দৃৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।
বিটিআরসি ও মোবাইল ব্যবসায়ীদের বৈঠকে যেসব সিদ্ধান্ত এসেছে
১। ন্যুনতম কাগজপত্র দাখিলের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে ভেন্ডর এনলিষ্টমেন্ট সনদ প্রদান এবং বিদেশ থেকে ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত/রিফারবিসড মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ রোধকল্পে শুধু মোবাইল ফোনের মূল উৎপাদনকারী সংস্থার পাশাপাশি যেকোনো অনুমোদিত সরবরাহকারীর প্রত্যায়নপত্রসহ (চুক্তির পরিবর্তে) আবেদন করা হলে বিটিআরসি হতে সহজেই তাদের অনুকূলে আমদানির অনুমোদন প্রদান করা হবে।
২। একইসঙ্গে , ক্লোন/কপি/ব্যবহৃত/রিফারবিসড মোবাইল হ্যান্ডসেট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ রোধের বিষয়টি নিশ্চিত করে আমদানি প্রক্রিয়া কীভাবে আরও সহজ করা যায় সে বিষয়ে সুস্পষ্ট লিখিত প্রস্তাব প্রদানের জন্য বিটিআরসির পক্ষ থেকে ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ’ এর প্রতিনিধিদের আহ্বান জানানো হয়।
৩। ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ’ এর চাহিদার প্রেক্ষিতে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের বাজারে বিদ্যমান অবিক্রিত সকল মোবাইল হ্যান্ডসেট নিয়মিতকরণের উদ্দেশে এ সংশ্লিষ্ট তথ্য নির্ধারিত ছকে জমা প্রদান করলে বিটিআরসি হতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন:
সর্বোপরি, ‘বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার, বাজারজাতকরণ ও তালিকা গ্রহণের নির্দেশিকা, ২০২৪’ অনুযায়ী বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানি করা হলে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে বিটিআরসি হতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে মর্মে আশ্বস্ত করা হয়।
ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সিস্টেম চালুর অংশ হিসেবে, দেশের সব মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী কর্তৃক এরমধ্যে আমদানি করা মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলোর মধ্যে অবিক্রিত/স্থিত সব মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এনইআইআর সিস্টেমে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
তাই উল্লেখিত হ্যান্ডসেটগুলোর আইএমইআই ও সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি এনইআইআর সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তকরণের জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বরের তারিখের মধ্যে ই-মেইল (এই ঠিকানা) মাইক্রোসফট এক্সেল ফাইল ফরম্যাট অনুযায়ী তথ্য প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানানো হলো।





