নারী বা পুরুষ—সবারই চেহারার সৌন্দর্যের জন্য মাথার চুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে অনেক যুগ ধরে টাক সাধারণত পুরুষদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায়। প্রাকৃতিকভাবে নারীদের মাথায় সম্পূর্ণ টাক পড়া প্রায় অসম্ভব। এর পেছনে কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, অধিকাংশ পুরুষের মাথায় টাক পড়ার মূল কারণ হলো বংশগত। এ ধরনের বংশগত অবস্থাকে এন্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া বলা হয়। আমেরিকান হেয়ার লস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, পুরুষদের ৯৫ শতাংশ চুল পড়ে যায় এন্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়ার কারণে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত এই বৈশিষ্ট্যের কারণে ছেলেদের চুলের রেখা এবং মাথার তালুতে চুল কমতে শুরু করে। মূলত ডাই হাইড্রোটেস্টোস্টেরন (DHT) নামক হরমোনের মাত্রা বাড়লে তাদের চুল পড়া শুরু হয়। এছাড়া অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও পরিবেশ দূষণও মাথায় টাক পড়ার অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন:
ডিএইচটি হরমোন নিয়ন্ত্রণের জন্য চিকিৎসকেরা প্রায়ই অ্যান্টি-ডিএইচটি ওষুধ প্রেসক্রাইব করেন। এতে চুল পড়ার হার কমে যায়, তবে টাক পড়া সম্পূর্ণরূপে আটকানো সম্ভব নয়।
নারীদেরও মাথায় চুল পড়তে পারে, তবে পুরুষদের মতো নয়। নারীদের টাক পড়াকে এন্ড্রোজেনেটিক অ্যালোপেসিয়া—ফিমেল প্যাটার্ন বল্ডনেস বলা হয়। এটি মূলত বংশগত কারণে হয়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নারীদের মাথায় চুলের পরিমাণ কমে আসে, বিশেষ করে মেনোপজের পরে হরমোনের পরিবর্তনের কারণে চুল পড়ার হার বেড়ে যায়।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘যেহেতু পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন চুলের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে, তাই নারীরা পুরুষদের মতো একইভাবে চুল হারায় না।’
বেশিরভাগ পুরুষই নিজেদের টাকের কারণে হীনমন্যতায় ভুগে আত্মবিশ্বাস হারান। তবে মজার বিষয় হলো, এক গবেষণায় দেখা গেছে নারীরা টাক মাথার পুরুষদের অনেক বেশি আকর্ষণীয় মনে করেন।





