প্রথম দেখায় মনে হবে ধুমকেতুর বিস্ফোরণে পৃথিবীর বুকে নেমে আসছে উল্কা বৃষ্টি। তবে বাস্তবে এটি স্টারশিপ রকেটের ধ্বংসাবশেষ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাতে স্পেস এক্সের রকেট বিস্ফোরণের ঘটনায় ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়ে ক্যারিবীয় সাগরের আশপাশের অঞ্চলে। এমনকি ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয় মায়ামিসহ ফ্লোরিডার ৪টি বিমানবন্দর।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্রেট বোস্টউইক বলেন, ‘পুরো আকাশ আলোকিত হয়ে পড়ে। খুবই সুন্দর দৃশ্য ছিল। দেখতে পারছিলাম ভারী ধ্বংসাবশেষগুলো সামনে ছিল। হালকাগুলো পেছনে। হলুদ, কমলা, নীল রঙের এমন আতশবাজি জীবনেও দেখিনি।’
উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ পরই আবারও ধ্বংস হলো স্পেস এক্সের রকেট স্টারশিপ। এ নিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো এমন ব্যর্থতা দেখলো বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান। লাইভস্ট্রিমে দেখা যায়, টেক্সাসের বোকা চিকার লঞ্চপ্যাড থেকে ৮ মিনিট বাদে মহাকাশে অনিয়ন্ত্রিতভাবে ঘুরতে থাকে স্টারশিপ। মাত্র ১৪৬ ফুট উচ্চতায় বন্ধ হয়ে যায় রকেটের ইঞ্জিন। বিচ্ছিন্ন হয় গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ। এর কিছুক্ষণ বাদেই বিস্ফোরিত ধ্বংসাবশেষগুলো ছড়িয়ে পড়ে আকাশে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় রকেট স্টারশিপের এ নিয়ে ৮ বার পরীক্ষা চালানো হয়েছে। রকেটটি ধ্বংস হলেও অক্ষত অবস্থায় পৃথিবীতে ফিরে এসেছে উৎক্ষেপণে সহায়তাকারী বুস্টার। মেকানিকাল চপস্টিকের মাধ্যমে তৃতীয়বারের মতো বুস্টার ক্যাচিং সম্পন্নের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস গড়লো প্রতিষ্ঠানটি।
নভোচারীবিহীন রকেটটি ধ্বংসের প্রকৃত কারণ এখনো জানা সম্ভব হয়নি। তবে ভবিষ্যৎ মিশনের জন্য পুরো ঘটনা যাচাইয়ের আশ্বাস দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মানুষকে চাঁদে পাঠানোর প্রোগ্রাম পুনরায় শুরুর লক্ষ্যে স্পেসএক্সকে স্টারশিপ রকেট বানানোর দায়িত্ব দিয়েছে নাসা। দেড় মাস আগেও টেক্সাসের লঞ্চপ্যাড থেকে উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণ বাদেই ধ্বংস হয় স্টারশিপ।