তারা বলেন, প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে নারী সমাজের ক্ষমতায়ন করতে হবে, যাতে তারা নিজেদের কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারে। নারীদের প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায়ন এবং আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের গ্লোরি গার্লস সেগমেন্টের গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরাই ছিলো এই আয়োজনে প্রধান উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের নেতৃস্থানীয় নারী ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন এবং ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা থেকে প্রায় দেড়শ’ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের ফাউন্ডার মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান, চিফ এডুকেটর ওয়াহিদ নিউটন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান নিপু, ট্রাস্টি বোর্ড মেম্বার গোলাম সারওয়ার এবং প্রজেক্ট ডিরেক্টর এম আব্দুল্লাহ।
বক্তারা নারী-পুরুষের মধ্যে প্রযুক্তি ও ডিজিটাল ক্ষেত্রে সমান সুযোগ সৃষ্টি করার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং বলেন, নারীদের প্রযুক্তি খাতে আরও বেশি উপস্থিতি নিশ্চিত করা শুধু তাদের জীবনের উন্নতি নয়, বরং পুরো সমাজের উন্নতির জন্যও অপরিহার্য।
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান এবং স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার প্রধান হিসেবে নারীদের প্রযুক্তি খাতে উন্নতির জন্য কাজ করছেন। তিনি বলেন, ‘নারীদের প্রযুক্তির মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন শুধু তাদের জীবনে পরিবর্তন আনবে না, বরং পুরো সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’
মোহাম্মদ শাহরিয়ার খান বলেন, ‘আমার লক্ষ্য নারীদের প্রযুক্তির মাধ্যমে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা, যাতে তারা প্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে পারে এবং নিজের জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারে। আমরা প্রযুক্তির শক্তি ব্যবহার করে নারী সমাজকে ক্ষমতাশালী করতে চাই, যাতে তারা নিজেদের কল্পনাকে বাস্তবে পরিণত করতে পারে।’
চিফ এডুকেটর ওয়াহিদ নিউটন বলেন, ‘গ্লোরি গার্লসের মতো উদ্যোগগুলো নারীদের প্রযুক্তি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করে এবং তাদের নেতৃত্বের ক্ষমতা তৈরি করছে, যা আমাদের প্রযুক্তির ভবিষ্যতকে আরও শক্তিশালী করবে।’
ট্রাস্টি মেম্বার গোলাম সারওয়ার বলেন, ‘এ ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য ছিল নারীদের প্রযুক্তি ক্ষেত্রে শক্তিশালী নেতৃত্বে পরিণত করা এবং তাদের জন্য একটি উন্নত ও সমান সুযোগ সৃষ্টি করা।’
আইসিটি অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ গ্লোরি গার্ল অ্যাম্বাসেডর, চাইল্ড রাইট অ্যাকটিভিস্ট ও ক্লাইমেট ক্যাম্পেইনার ফাতিহা আয়াত বলেন, ‘এ উদ্যোগটি প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন এবং ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি অনন্য মাইলফলক স্থাপন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’