সবশেষ ত্রৈমাসিকে অ্যাপলের নগদ লভ্যাংশ বেড়েছে ৪ শতাংশ। তবে এ সময়ে বিলিয়ন ডলারের স্টক নিজেদের শেয়ার কেনার (বাইব্যাক) অতিরিক্ত প্রোগ্রাম অনুমোদন দিয়েছে অ্যাপল। যা কোম্পানিটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যার প্রভাব পড়েছে প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়।
শুক্রবার (৩ মে) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইফোন প্রস্তুতকারক অ্যাপল (এএপিএল.ও) রেকর্ড শেয়ার বাইব্যাক প্রোগ্রাম উন্মোচন করেছে। গত বৃহস্পতিবার শেয়ারের ফলাফলে দেখা গেছে, গত তিন মাসে অ্যাপলের ব্যবসা বেড়েছে ৬ শতাংশ।
শেয়ার মার্কেটের ফলাফল ও নির্দেশিকা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, বাজারে কঠোর প্রতিযোগিতা এবং নিয়ন্ত্রক চ্যালেঞ্জ থাকা স্বত্বেও অ্যাপল স্মার্টফোন বাজারে তার অবস্থান ফিরে পেতে পারে।
শেয়ার মার্কেটের এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর অ্যাপলের শেয়ারের দাম আবারও বেড়েছে। এরই মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার বিনিয়োগ ১৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।
জুনে শেষ হতে যাওয়া অ্যাপলের চলতি প্রান্তিকের বিষয়ে কুক জানান, অ্যাপল সামগ্রিক রাজস্বে ন্যূনতম এক অঙ্কের প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশা করছে।
তবে এলএসইজির তথ্য অনুযায়ী, ওয়াল স্ট্রিটে বিনিয়োগকৃত ৮২.৮৯ বিলিয়ন ডলারে ১.৩৩ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
অ্যাপলের সিএফও লুকা মায়েস্ত্রি বলেন, চলতি প্রান্তিকের সেবা আর আইপ্যাডের আয় দুই অঙ্কের বাড়বে বলে আশা করছে অ্যাপল। সংস্থাটি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ৪৫.৫ শতাংশ থেকে ৪৬.৫ শতাংশের মধ্যে গ্রস মার্জিন আশা করছে।
অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আইফোন বিক্রি ১০.৫ শতাংশ কমে ৪৫.৯৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যেখানে বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা ছিল ৪৬ বিলিয়ন ডলার। গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যাপলের নির্বাহীরা জানিয়েছিলেন, কোভিডের লকডাউনের সময় সরবরাহ ব্যবস্থার জট কাটিয়ে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আইফোন বিক্রি ৫০০ কোটি ডলার ছাড়াবে।