গত কয়েক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ধাপে ধাপে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জানুয়ারিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ৪৪ কোটি ৮০ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৪৭ কোটি ৯০ লাখ, মার্চে ৩৬ কোটি ৪০ লাখ এবং এপ্রিলে ৩৮ কোটি ২০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বাংলাদেশে। সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠানো ৩০টি দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে আরব আমিরাতের প্রবাসীরা।
বৈধপথে পাঠানো রেমিট্যান্সের বিপরীতে সরকারের প্রণোদনার পর থেকে এই ধারাবাহিকতা চলমান রয়েছে এবং সচেতনতা বেড়েছে।
প্রবাসীরা বলেন, ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা দেয়ার ফলে অনেক প্রভাব পড়ছে। বৈধ পধে দেশে টাকা পাঠানোর আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে যে হুন্ডিতে টাকা পাঠানো খুব ক্ষতিকর।
আরব আমিরাত থেকে প্রবাসী আয় বাড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহ বাড়াতে ২০২২ সালে এই সম্মাননা চালু করে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট। গত কয়েক বছরে যার সুফল স্পষ্ট হয়েছে দেশের অর্থনীতিতে।
দুবাই নেফলেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল কাসেম আজাদ বলেন, 'আরব আমিরাতে প্রায় ১২ লাখ প্রবাসী বসবাস করে। তার মধ্যে ২ লাখের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। যদি প্রত্যেকেই দেশে অর্থ পাঠানোর ব্যাপারে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হলে বাংলাদেশ সমৃদ্ধ হবে।'
চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে আবারও বসবে রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ডের আসর। এবার সরকার ঘোষিত আমিরাতের ৮১ জন বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ছাড়াও এই সম্মাননা পাবেন সাধারণ কর্মী, পেশাজীবীসহ শতাধিক প্রবাসী।
দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, 'এই দেশে এখন ৮১ জন সিআইপি আছেন। এ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আমরা তাদেরকেও বিশেষভাবে সম্মানিত করতে চাই। সে অনুযায়ী আমাদের প্রস্তুতি চলছে।'
প্রবাসীরা বলছেন, বাংলাদেশ মিশনের উদ্যোগে অনুপ্রাণিত তারা। বৈধ পথে লেনদেন দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর।