বাংলাদেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন বৃটিশ লেবার পার্টির প্রভাবশালী এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি ও শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপকে আদালতের দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় ব্রিটিশ গণমাধ্যম। বিরোধী রাজনৈতিক দলসহ ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটিতেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
ইউকে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রেসিডেন্ট শাকির হোসাইন বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ রায়কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং আমরা লক্ষ্য করেছি যে, তারা বিগত দিনগুলোতে বাংলাদেশের সংবিধান, আইনের শাসনকে জলাঞ্জলি দিয়ে একটি পরিবারের কাছে দেশকে নিয়ে গিয়েছিলেন।’
সিনিয়র সাংবাদিক এনাম চৌধুরী বলেন, ‘একজন ব্রিটিশ এমপি এবং সাবেক মন্ত্রী হওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের আদালত সময়োপযোগী একটি রায় দিয়েছেন।’
কনসারভেটিভ পার্টির সলিসিটর মুফতি ইসলাম বলেন, ‘কনজার্ভেটিভ পার্টি কখনোই একটি করাপ্টেড এমপি অথবা যার বিরুদ্ধে কারাদণ্ড আছে, তাকে মেনে নিতে পারে না। ব্রিটিশ সরকার বা গণতন্ত্র সারা পৃথিবীতে একটি স্ট্যান্ডার্ড মেইনটেইন করে।’
আরও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ নেতার কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নেয়ার অভিযোগে চলতি বছরের শুরু দিকে যুক্তরাজ্যের সিটি মিনিস্টারের পদ ছাড়তে বাধ্য হন টিউলিপ।
রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসার পর চলতি বছরের জানুয়ারিতে একই রকম চাপে পড়েন তিনি, বাধ্য হোন মন্ত্রিত্ব ছাড়তে। তবে এবার দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় ফের পড়তে পারেন চাপের মুখে।
যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্যারিস্টার নাজির আহমেদ বলেন, ‘পার্টির পক্ষ থেকে যখন একজন সদস্য বিভিন্ন ক্রিমিনাল অ্যাকটিভিটিতে জড়িত হন দেশে অথবা দেশের বাইরে, তাহলে লেবার পার্টি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে।’
এর আগে টিউলিপের মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কয়েকজন ব্রিটিশ আইনজীবী। তারা বলেছেন, এ বিচারকাজ স্বচ্ছ হচ্ছে না। এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন বরাবর একটি চিঠিও লিখেছিলেন তারা। এদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানকে টিউলিপ বলেন, ‘এ রায় ত্রুটিপূর্ণ ও প্রহসনমূলক।’




