দোহার আল কার্নিশ সাগরে পর্যটকবাহী নৌকায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের একচ্ছত্র আধিপত্য

আল কার্নিশ সাগরপার থেকে রাতের দৃশ্য
আল কার্নিশ সাগরপার থেকে রাতের দৃশ্য | ছবি: এখন টিভি
0

কাতারের রাজধানী দোহার পর্যটকপ্রিয় আল কার্নিশ সাগরে ঘুরে বেড়ানো শতাধিক পর্যটকবাহী নৌকার মালিকানা, বেশিরভাগই প্রবাসী বাংলাদেশিদের। পর্যটকদের সাগর ভ্রমণ করিয়ে উপার্জিত অর্থে বেশ সন্তুষ্টও বাংলাদেশিরা। প্রতিদিনই বিকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব নৌকায় চড়ে আল-কার্নিশের রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করেন দেশ-বিদেশের পর্যটকরা।

পারস্য উপসাগরের অংশ আল-কার্নিশ সমুদ্রসৈকত। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ কাতারের রাজধানী নগরীর ঐতিহাসিক ও ব্যস্ত বাজার এলাকা সোউক ওয়াকিফ থেকে শুরু করে ওয়েস্ট বে’র আকাশচুম্বী ভবনের সারি পর্যন্ত বিস্তৃত এ সৈকত; দোহার অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র।

প্রতি সন্ধ্যায় কার্নিশের ঝাউবন ভরে ওঠে অসংখ্য ছোট ছোট তারাবাতিতে। হেঁটে কিংবা নৌকায় চড়ে গোধূলি আর সূর্যাস্ত উপভোগ করেন দর্শনার্থীরা। আরবি ভাষায় সাফিনা বলে পরিচিত শতাধিক পর্যটকবাহী নৌকা থরে থরে সাজানো থাকে পর্যটকদের জন্য। ভিন দেশে এসব নৌকার বেশিরভাগেরই মালিকানা ও পরিচালনার দায়িত্ব প্রবাসী বাংলাদেশিদের। প্রবাসী ও ভিনদেশি পর্যটকদের নৌকায় চড়িয়ে আল কার্নিশ সাগর ভ্রমণ করিয়ে ভালো আয়-রোজগার হয় বলে জানান বাংলাদেশিরা।

আরও পড়ুন:

দর্শনার্থীরা জানান, পর্যটকবাহী নৌকাগুলোতে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। রাতের সাগরপারের মনোরম দৃশ্য দেখে সন্তুষ্ট দর্শনার্থীরা।

প্রতিদিনই বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নৌকা ভ্রমণ ও আল কার্নিশের রাতের সৌন্দর্য উপভোগ করেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। নৌকায় বসে রাতের অন্ধকারে সাগর থেকে তীরের সুউচ্চ, আলো ঝলমলে ইমারত অন্যরকম আনন্দ দেয় প্রবাসীদের।

নৌকার মালিকানার দায়িত্বে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, এখানে অধিকাংশ মানুষ বাংলাদেশি। বাহিরের দেশ থেকেও পর্যটকরা এখানে আসে। ইউরোপের দেশগুলো থেকেও পর্যটকরা আসেন।

২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন ঘিরে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাক্ষী; মাথাপিছু আয়ে মধ্যপ্রাচ্যের সব চেয়ে ধনী দেশ কাতার। সারা বিশ্বের ১৪ লাখের বেশি মানুষ পর্যটক হিসেবে সে বছর পা রেখেছিলেন কাতারে।

এফএস