গেল রোববার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোল স্থলবন্দরে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট, যাত্রী টার্মিনাল ট্রু ও মৈত্রী দ্বার উদ্বোধন করেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যদিও, আধুনিক টার্মিনাল ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনার নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় বিপাকে পড়তে হচ্ছে বাংলাদেশি যাত্রীদের।
তবে, গেল দুই সপ্তাহের তুলনায় পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যাত্রী পারাপার বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ভারতীয় কাস্টমসের সূত্র বলছে, ১০-১৫ দিন আগে যেখানে ১ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতেন, চলতি সপ্তাহে তা প্রায় দু'হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে অমিত শাহ'র পেট্রাপোল সফরের পর আবারও চালু হয়েছে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিদিন গড়ে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ' পণ্যবাহী ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশে যাচ্ছে। চালু হয়েছে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচসহ জরুরি পণ্য রপ্তানিও।
আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমের পাশাপাশি যাত্রী পারাপার কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তিতে পেট্রাপোল স্থলবন্দরের নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকার অটো ও ট্যাক্সি চালকদের আয়ের একটি বড় অংশ আসে ভারত-বাংলাদেশগামী যাত্রী পারাপার থেকে। চালকরা বলছেন, অনলাইনে ট্যাক্সি বুকিং চালু হলে যাত্রীদের পাশাপাশি তারাও লাভবান হবেন।
মূলত বাংলাদেশি পর্যটকদের বিশেষ পরিষেবা ও সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে পেট্রাপোল স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত সংস্কারের উদ্যোগ নেয় ভারত।
এখন, দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও ভিসানীতিতে ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন আসলে রাজস্ব আয়ের পরিমাণ যেমন বাড়বে তেমনি সীমান্তবর্তী এলাকার ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।