হামলা পাল্টা হামলায় উত্তাল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল। এরই মধ্যে সেখানকার ২০টি শহর খালি করার নির্দেশ দিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। হামলা হয়েছে বৈরুত বিমানবন্দরের নিকটবর্তী অঞ্চলেও। বন্ধ আছে লেবানন থেকে সিরিয়া যাওয়ায় প্রধান সড়কটিও। বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় চরম সংকটে লেবাননে আটকে পড়া কয়েক হাজার প্রবাসী। মানবেতর জীবনযাপন করছেন দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও।
লেবানন প্রবাসী বাংলাদেশি একজন বলেন, ‘আমাদের লেবাননের অবস্থা ভয়াবহ। এখানে যুদ্ধ চলছে। মানুষের থাকার জায়গা নাই বললেই চলে।’
স্থানীয় বেশ কিছু প্রবাসী সংগঠনের সহায়তায় কিছু সংখ্যক বাংলাদেশিকে আশ্রয়কেন্দ্র সরিয়ে নেয়া হলেও জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাবের পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রের পরিবেশ নিয়েও সন্তুষ্ট নন তারা। বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরতে বারবার যোগাযোগ করছেন বাংলাদেশ দূতাবাসে।
বিশেষ করে সিরিয়া যাওয়ার প্রধান সড়কে বোমা হামলা এবং বৈরুত বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ইসরাইলি হামলার পর এটি স্পষ্ট যে, লেবাননের সঙ্গে বাইরের দেশগুলোর যোগাযোগ বন্ধ করতে মরিয়া নেতানিয়াহু প্রশাসন। এতে করে দেশটিতে আটকে পড়া প্রবাসীদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়ছে।
তবে এরই মধ্যে নাগরিকদের ফিরিয়ে এনেছে কলোম্বিয়া ও স্পেন। একই পথে হাঁটছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও রাশিয়ার মতো দেশ। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ বিমানে দেশে ফেরার অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। তাদের প্রত্যাশা, রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশ সরকার।