অর্থনীতি
প্রবাস
0

কুয়ালালামপুরে বসেছে তিনদিনের গিফটস ফেয়ার

কুয়ালালামপুরে বসেছে তিনদিনের বার্ষিক গিফটস ফেয়ার। এবারের আসরে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশের ছয়টি প্রতিষ্ঠান। নিজেদের পণ্যের পরিচিতি ছড়িয়ে বিপণন বাড়ানোর প্রত্যাশা এসব প্রতিষ্ঠানের। অতীতে মেলায় অংশ নেয়ার পর মালয়েশিয়ার বাজারে ঢুকেছে দেশীয় অনেক পণ্য।

বিশ্ব অর্থনীতির যখন টালমাটাল অবস্থা, তখন ছোট-বড় সবধরনের ব্যবসা আন্তর্জাতিক পরিসরে নিয়ে যেতে ভাবছে মালয়েশিয়া। নতুন বাজার সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজধানী কুয়ালালামপুরে বসেছে তিনদিনের গিফটস ফেয়ার।

নিজেদের পণ্য নিয়ে মেলায় এসেছে মালয়েশিয়াসহ নানা দেশের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এশিয়ার অন্যতম বড় মেলা এটি। প্রতি বছরের নিয়মিত এ আয়োজনে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক উপহার শিল্পে ২০ হাজারের বেশি নতুন ধারণা বা উদ্ভাবন সৃষ্টির সম্ভাবনা দেখছেন আয়োজকরা। ক্রেতা-বিক্রেতার মাঝে বাণিজ্যিক যোগাযোগে স্থাপনের প্রত্যাশা তাদের। বাণিজ্যের নানা চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মেলাতে বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান অংশ নেয় এ মেলায়।

ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, 'প্রোডাক্ট কোয়ালিটি যদি ভালো দিতে পারি তাহলে ভালো সারা পাবো।'

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অর্থনৈতিক জোট আসিয়ানের এ মেলায়, মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মতো বসেছে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন। সেখানে দেশীয় ছয়টি প্রতিষ্ঠান নিজেদের পণ্য প্রদর্শন করছে। এসব পণ্যের নানা গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরার মাধ্যমে নতুন বাজার তৈরিই মূল্য লক্ষ্য এসব প্রতিষ্ঠানের। দেশীয় বুথ পরিদর্শনের সময় তাদের সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেন মালয়েশিয়া নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান।

তিনি বলেন, 'তাদের সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য রয়েছে। যা প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ থেকে যেসকল প্রতিষ্ঠান এখানে পণ্য প্রদর্শনীর জন্য এসেছে তাদের মধ্যে পাট ও পাটজাত পণ্য, হ্যান্ডি ক্রাপ্ট রয়েছে।'

এ ধরনের মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের নানা দেশে বাংলাদেশি পণ্যের বিপণন বাড়বে  ও দেশে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়ার আশা মেলায় অংশ নেয়া বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের।

ইএ