প্রবাস
আমিরাতে বেড়েছে বেচাকেনা, ব্যস্ততা বেড়েছে দোকানিদের
ঈদ ঘিরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে জমে উঠেছে পোশাকের বাজার। পাইকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ১৫ রোজার মধ্যে তাদের বড় চালান শেষ করলেও, খুচরা প্রতিষ্ঠান এখনও জমজমাট। পছন্দমতো ঈদের পোশাক কিনতে প্রবাসীরাও ছুটছেন শপিংমলে।

ঈদুল ফিতরের বাকি আর কয়েকদিন। ঈদকে ঘিরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে জমে উঠেছে বিপণি-বিতানগুলো। যারা পরিবার পরিজন নিয়ে থাকেন তারা ছুটে যাচ্ছেন শপিং মলে। আত্মীয়-পরিজনের জন্য নতুন জামা-কাপড়, জুতা, প্রসাধনী কিনে ঈদ রাঙাতে প্রস্তুতি তাদের। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত ব্যবসায়ীরাও।

ঈদ ঘিরে এবারও ১৫ রোজার মধ্যে ছোট-বড় ব্যবসায়িক চালান সম্পন্ন করেছেন দেশটিতে থাকা তৈরি পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত পাইকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। ব্যবসায়ীরা জানান, পাইকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বেচাবিক্রি শুরু হয় রমজানের একমাস আগে থেকে। চলে ১৫ রমজান পর্যন্ত।

একজন পাইকারি বিক্রেতা বলেন, 'আমাদের পণ্যগুলো বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আমরা এখানে পাইকারি দামে এগুলো বিক্রি করি। আমাদের প্রধান কাস্টমার আরব আমিরাতের সুপার মার্কেটগুলো। ১৫ রোজার পর বিক্রি একটু কমে যায়।'

এখন ঈদ ঘনিয়ে আসায় জমজমাট শপিংমল। পছন্দের পোশাক কিনতে প্রবাসীরা ছুটছেন খুচরা বাজারে।

একজন প্রবাসী ক্রেতা বলেন, 'আমরা দেশের বাইরে ঈদ উদযাপন করি। আসলে এখানে আমাদের আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই। তারপরও আমরা এক অপরের প্রতি ভ্রাতৃত্ব বোধ নিয়ে ঈদ উদযাপন করি। এটা অনেক আনন্দের।'

ঈদের আগে নতুন পোশাকের সঙ্গে নতুন আঙ্গিকে সেজেছে দেশটিতে থাকা শপিং মলগুলো। ক্রেতা চাহিদা মাথায় রেখে পণ্যের জোগান রেখেছেন খুচরা দোকানিরা। দেশিয় শাড়ি, পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি কিংবা শার্ট; পছন্দের যেকোনো পণ্য হাত বাড়ালেই মিলছে এসব প্রতিষ্ঠানে।

ব্যবসায়ীরা বলছেন সামনে বিক্রি আরও বাড়বে। বিশেষ করে দেশের মতো চাঁদ রাতের বেচাবিক্রির অপেক্ষায় তারা।

এমএসআরএস