দিন দিন রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ছে আমিরাত থেকে

0

সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রেমিট্যান্স। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৯৩ জন আমিরাত প্রবাসীকে সিআইপি তালিকাভুক্ত করায় বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।

দেশের অর্থনীতির চাকায় আরও গতি আনতে বিদেশের মাটিতে দিন-রাত ঘাম ঝরাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই যাত্রায় অনেকটা এগিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে থাকা রেমিট্যান্স যোদ্ধারা। দেশটি থেকে বৈধ পথে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাঠানোয় ২০২১ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯৩জন প্রবাসীকে সিআইপি তালিকাভুক্ত করে বাংলাদেশ।

পরিসংখ্যান বলছে, অর্থনীতিতে অবদানের স্বীকৃতি পাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রতিযোগিতা। গত তিন মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহের চিত্র সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। যেখানে দেখা যায়- অক্টোবরে ৩২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠানো হলেও নভেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮ কোটি ৪ লাখ ডলারে। ডিসেম্বরে তা ছাড়িয়েছে ৪৪ কোটি ডলার। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালে দেশটি থেকে বাংলাদেশিদের রেমিট্যান্স পাাঠানোর পরিমাণ ছিল ৩৬৭ কোটি ডলারের বেশি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে সিআইপি মোহাম্মদ ইমরান বলেন, 'আসলে এটি অনেক সম্মানের। যেখানে যাচ্ছি সেখানেই সম্মান পাচ্ছি। আমরা দেশকে ভালোবাসি, আমরা দেশে বৈধ পথে রেমিটেন্স যুক্ত হোক। সবাই বৈধ পথে পাঠালে দেশের জন্য ভালো, নিজের জন্য ভালো, সবার জন্যই ভালো।'

সিআইপি জসিম উদ্দীন তালকুদার বলেন, 'এখন সিআইপি সম্মাননা ব্যবসায়িক খাতে বেশি যাচ্ছে। যারা চাকরিজীবি ও অন্যান্য পেশার আছে তাদের ছোটখাট কোন সম্মাননা দিলে রেমিটেন্স আরও বাড়বে।'

কেবল ব্যবসায়িরাই নন, তাদের দেখাদেখি বৈধ উপায়ে দেশে অর্থ পাঠাতে আগ্রহ বাড়ছে সাধারণকর্মীদের মধ্যে। যে কারণে গত অর্থবছর ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে দেশের সার্বিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২ হাজার একশ কোটি ডলারের উপরে।

সাধারণ প্রবাসীরা যদি বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার না হন এবং দেশে যথাযথ সম্মান পান তাহলে রেমিট্যান্স প্রবাহে আরও গতি আসবে বলে মনে করছেন সিআইপিরা।

সিআইপি মোহাম্মদ ইমরান বলেন, 'প্রবাসীরা দেশকে ভালবাসে, দেশের মানুষকে ভালবাসে। প্রবাসীদের চাওয়া পাওয়ার বেশিকিছু নেই। তারা একটু সম্মান, ভালবাসা চায়। সরকার যদি এদিকে মনযোগ দেয় কবে আশা করি সব সঠিক পথে ফিরে আসবে।'

রেমিট্যান্সের গতি ধরে রাখতে সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা আরো সহজে কর্মীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়ার বিকল্প নেই বলে মনে করছেন প্রবাসীরা।

এসএস