প্রবাস
0

দেশের অগ্রযাত্রার সহযাত্রী প্রবাসী কর্মীরা

তলাবিহীন ঝুড়ি বলে দেয়া তাচ্ছিল্যের জবাব উন্নয়ন দিয়েই দিয়েছে বাংলাদেশ। এখন হাতছানি ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার। অর্থনীতির সব সূচকেই এই অগ্রযাত্রার অন্যতম সহযাত্রী প্রবাসী কর্মীরা। তাদের ঘাম বেয়ে আসা রেমিট্যান্স শক্তিশালী করছে দেশের অর্থনীতিকে।

দেশে দেশে উন্নয়নের অংশীদার প্রবাসী কর্মীদের অধিকার রক্ষার প্রতিপাদ্যে এবার পালিত হয়েছে বিশ্ব অভিবাসী দিবস। দিনটিতে মালয়েশিয়ায় থাকা ১৩ লাখেরও বেশি প্রবাসীদের সম্মান জানিয়েছে বাংলাদেশ হাই-কমিশন।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর সৈয়দ শরিফুল ইসলাম বলেন, 'তারা যাতে যথাযোগ্য মর্যাদায় কাজ করতে পারে সেসব বিষয় নিয়েই আলোচনা হয়েছে। এর ফলাফল ভালো হবে বলে আশা করি। ভবিষ্যতেও এ ধরনের আলোচনা অব্যাহত থাকবে।'

বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগে অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয় ও কাজ না পাওয়াসহ নানা প্রসঙ্গ উঠে আসে আলোচনায়। অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয় দেশের অনেক রিক্রুটিং এজেন্সিদের বিরুদ্ধে। তাদের আরও দায়িত্বশীল হবার তাগিদ বক্তাদের।

মালয়েশিয়া লেভার ডিভিশনের সিনিয়র সহকারী পরিচালক কালা এপি থাঙ্গারাজু বলেন, 'নিয়োগকর্তারা ১০০ জনের কোটায় ১০ জন কর্মী চাইলেও এজেন্সিরা ১০০ কর্মীকেই পাঠিয়ে দেয়। সুতরাং আমরা নিয়োগকর্তাদের সব দোষ দিতে পারিনা।'

ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর বলেন, 'দেশ থেকে ১৫শ' ২০টি রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা দেয়া হয়েছে। তবে সর্বোচ্চ ৪ হাজার রিঙ্গিত অভিবাসন ব্যয় বেঁধে দেয়া হলেও পরিকল্পনাটি আলোর মুখ দেখেনি।'

কর্মী বঞ্চনা বন্ধের পাশাপাশি তাদের অধিকার নিশ্চিতে ঢাকা-কুয়ালালামপুর ও অভিবাসী সংক্রান্ত বিভিন্ন দপ্তর একযোগে কাজ করছে বলে জানায় হাইকমিশন।