এমন পরিস্থিতিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে কার্গো ব্যবসা, অন্যদিকে পরিবার ও স্বজনদের কাছে প্রয়োজনীয় পণ্য পাঠাতে বিকল্প খুঁজছেন রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।
সৌদি আরবের বিভিন্ন খাতে বর্তমানে ২৮ লাখ বাংলাদেশি শ্রমজীবী কর্মরত আছেন। বিদেশ থেকে প্রিয়জনদের জন্য প্রায়ই উপহারসামগ্রী পাঠিয়ে থাকেন প্রবাসীরা। এসব পণ্যের মধ্যে খেজুর, জায়নামাজ, কম্বল, প্রক্রিয়াজাত খাবার ও বাচ্চাদের খেলনা রয়েছে।
দেশে মালামাল পাঠাতে আগে বাংলাদেশের কার্গো ব্যবসায়ীদের দ্বারস্থ হতেন সৌদিপ্রবাসীরা। বাণিজ্যিকভাবে চলাচলকারী পণ্যবাহী বা কার্গো বিমানের মাধ্যমে মালামাল পাঠাতেন। এ ব্যবসা থেকে দেশে মোটা অংকের রেমিট্যান্স আসতো। কিন্তু দীর্ঘদিন সে ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় কার্গো ব্যবসার সঙ্গে জড়িত প্রায় ১০ হাজার শ্রমজীবী বেকায়দায় পড়েছেন।
প্রবাসী এক বাংলাদেশি বলেন, ‘আগে কম খরচে পরিবার ও বাচ্চাদের জন্য উপহারসামগ্রী পাঠাতে পারতাম। এখন বিকল্প উপায়ে এসব পাঠাতে বেশি ব্যয় হয়ে যাচ্ছে।’
রাজধানী রিয়াদের বাংলাদেশি মার্কেট, জেদ্দার বাংলাদেশ মার্কেট ও দাম্মামের বাংলাদেশি মার্কেটগুলোতে মালামাল নিয়ে প্রবাসীদের দেখা গেলেও কার্গো ব্যবসায়ীদের তেমন দেখা যায় না। আরবের রিয়াদ কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দাম্মাম কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা পর্যন্ত সরাসরি বিমানের ফ্লাইট চালু রয়েছে। তাই রিয়াদ, জেদ্দা ও দাম্মাম থেকে ঢাকায় মালামাল পাঠানো সম্ভব বলে মনে করেন কার্গো ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে মালামাল পাঠানো নিয়ে কোনো ধরনের জটিলতা নেই বলে জানান স্থানীয় কার্গো ব্যবসায়ীরা। তবে সৌদি থেকে বাংলাদেশে পণ্য পাঠাতে সমস্যা হয়।
সৌদি আরব থেকে কম খরচে মালামাল পাঠাতে কার্গো ব্যবসা খাতকে এগিয়ে নিতে সরকারের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।