রেমিট্যান্স যোদ্ধা খালিদ শেখের মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ পাওয়া থেকে মরদেহ দেশে পাঠানো পর্যন্ত সার্বিক বিষয়ে সহায়তা করছে কুয়ালালামপুরে থাকা বাংলাদেশ হাইকমিশন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশ ।
গত ১০ নভেম্বর মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের তিলকগংয়ের একটি কারখানায় কাজ করার সময় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন রেমিট্যান্স যোদ্ধা খালিদ শেখ। পরে তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
প্রবাসি খালিদ শেখের মৃত্যুর পর তড়িঘড়ি করে লাশ দেশে পাঠানোর চেষ্টা করে কোম্পানী। এছাড়াও দেশে থাকা খালিদের পরিবারের কাছে প্রতিষ্ঠানটি অভিযোগ করে জানায়, দেশে তার মৃতদেহ পাঠানোর জন্য হাইকমিশন থেকে ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে না। তবে কোম্পানী থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাড়া লাশ দেশে পাঠানোর অনুমতি না দিয়ে মাত্র ৪ দিনের মধ্যে এই অর্থ আদায় করে বাংলাদেশ হাইকমিশন। নিহত খালিদ শেখের পরিবার ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিশ্চিত হতেই ছাড়পত্র দেয় বাংলাদেশ দূতাবাস।
হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশ জানান, বাংলাদেশের কোন নাগরিক মালয়েশিয়ায় মারা গেলে তা হাইকমিশনের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সঙ্গে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। এক্ষেত্রে হাইকমিশনের পক্ষে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা তাদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজের আত্মীয় স্বজন হারালে যে ব্যথা অনুভূত হওয়ার কথা সেই সমব্যথায় ব্যথিত হয়ে লাশ পাঠাতে কাজ করেন।
তিনি আরও জানান, ডকুমেন্টেড অথবা আনডকুমেন্টেড যে কোন কর্মীর মারা গেলে তার মরদেহ দেশে পাঠানোর জন্য ডেথ সার্টিফিকেট, মেডিক্যাল রিপোর্ট, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স ও কাসকেট কোম্পানি নিয়োগের প্রয়োজন হয়। বৈধ কর্মীর দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হলে ইন্সুরেন্স বাবদ ক্ষতিপূরণ আদায় সময় সাপেক্ষ বিষয়। আর তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ আদায়ে নিরলসভাবে কাজ করে হাইকমিশন। কোন প্রতিষ্ঠানই স্বাভাবিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে চায় না কিংবা দিতে চাইলেও গড়িমসি করে। তাই যেকোন পরিমাণ ক্ষতিপূরণ আদায়ে আমাদের অনেক বেগ পেতে হয়।
মালয়েশিয়ার আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন ও ক্ষতিপূরণ আদায়ের চেষ্টার কারণে কোন কোন লাশ পাঠাতে সময় লেগে যায়। এক্ষেত্রে হাইকমিশনকে ভুল না বুঝারও অনুরোধ জানান হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) সুমন চন্দ্র দাশ ।
