স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. রুবীনা ইয়াসমীন নিশ্চিত করেছেন, দুপুরের দিকে এই ফল প্রকাশ করা হবে। ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ৯৮ শতাংশের বেশি পরীক্ষার্থীর প্রতীক্ষার অবসান ঘটবে। Medical Admission Result 2025-2026 জানবেন যেভাবে তা নিচে দেয়া হলো-
আরও পড়ুন:
ফল জানার পদ্ধতি ও ওয়েবসাইট (How to Check Result and Websites)
ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তাদের এমবিবিএস (MBBS) ও বিডিএস (BDS) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন:
১. ওয়েবসাইট ভিজিট: শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ভিজিট করে ফল জানতে পারবেন।
২. সরাসরি লিংক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ভিজিট করে ‘MBBS Result 2025-2026’ লিংকে ক্লিক করতে হবে।
৩. রোল নম্বর ইনপুট: নির্দিষ্ট লিংকে ক্লিক করে পরীক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর (Admission Roll Number) দিতে হবে।
৪. ফলাফল দেখুন: এরপর ‘Result’ বাটনে ক্লিক করলেই ফলাফল দেখা যাবে। পরীক্ষার্থীরা এটি ডাউনলোড বা স্ক্রিনশট (Screenshot) নিতে পারবেন।
এছাড়া, মেধাতালিকা (Merit List) অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পিডিএফ (PDF) আকারেও প্রকাশ করা হবে। এই পিডিএফ পাওয়া যাবে এই লিংকে।
আরও পড়ুন:
আসন বণ্টন ও মূল্যায়ন প্রক্রিয়া (Seat Allocation and Evaluation Process)
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ ডিজিটাল (Digital) পদ্ধতিতে সম্পন্ন হচ্ছে।
আসন বণ্টন: ভর্তির জন্য সাধারণ আসন (General Seats) ও সংরক্ষিত আসনসমূহে (Reserved Seats) প্রার্থীর জাতীয় মেধা (National Merit) এবং কলেজ পছন্দের ক্রম (College Preference) অনুসারে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আসন বণ্টন করা হবে।
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি: নির্বাচিত প্রার্থীর অর্জিত মেধাক্রম (Merit Position) ও পছন্দের ভিত্তিতে প্রার্থী কোন কলেজে ভর্তি হবেন তা কম্পিউটারাইজড স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে (Automatic System) নির্ধারণ করা হবে।
সংরক্ষিত কোটা: সংরক্ষিত আসনসমূহে এবং নিজ নিজ শ্রেণির দাবিদারদের মধ্য হতেও মেধার ভিত্তিতেই প্রার্থী নির্বাচন করা হবে।
আরও পড়ুন:
স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ: ডিজিটাল মূল্যায়ন প্রক্রিয়া (Ensuring Transparency: Digital Evaluation)
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
স্বয়ংক্রিয় মূল্যায়ন: উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল চূড়ান্তকরণ এবং পুনর্নিরীক্ষণ (Re-evaluation) সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় (Digital Process) সম্পন্ন করা হয়েছে।
মেশিন পরীক্ষা: পরীক্ষার্থীদের পূরণ করা ওএমআর (OMR) বা আইসিআর (ICR) শিটগুলো বিশেষ মেশিনে পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন পদ্ধতি (MBBS Result Re-scrutiny Application Process)
যদি কোনো পরীক্ষার্থী তার প্রকাশিত ফল নিয়ে অসন্তুষ্ট হন বা পুনঃনিরীক্ষণের (Re-scrutiny) আবেদন করতে চান, তবে শুধুমাত্র মোবাইল এসএমএস-এর (Mobile SMS) মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
ধাপ (Step) প্রক্রিয়া (Procedure) উদাহরণ (Example) ১. প্রথম SMS আপনার মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করুন: DGHS RSC <Roll Number>। এটি ১৬২২২ নম্বরে পাঠান। DGHS RSC 123456 send to 16222 ২. পিন নম্বর প্রাপ্তি প্রথম এসএমএস পাঠানোর পর আপনার নম্বরে একটি পিন (PIN) নম্বর সহ ফিরতি মেসেজ আসবে। PIN: XXXXXX. To apply for re-scrutiny, send DGHS RSC YES XXXXXX to 16222. ৩. দ্বিতীয় SMS (নিশ্চিতকরণ) এবার দ্বিতীয় এসএমএসে আবেদন নিশ্চিত করতে টাইপ করুন: DGHS RSC YES <পিন নম্বরটি>। এটি আবার ১৬২২২ নম্বরে পাঠান। DGHS RSC YES XXXXXX send to 16222 ৪. ফি পরিশোধ পুনঃনিরীক্ষণের জন্য নির্ধারিত ১০০০ টাকা (One Thousand Taka) ফি আপনার মোবাইল ফোন থেকে কেটে নেওয়া হবে। আবেদন সফল হলে নিশ্চিতকরণ মেসেজ আসবে।
এর আগে গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত দেশের ১৭টি কেন্দ্র (17 Centers) এবং ৪৯টি ভেন্যুতে (49 Venues) একযোগে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী (Over 98% attendance) উপস্থিত ছিলেন, যা এই পরীক্ষার গুরুত্ব বহন করে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে সরকারী মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ৫ হাজার ৬৪৫টি। যার মধ্যে এমবিবিএস ৫ হাজার ১০০ এবং বিডিএস ৫৪৫টি। বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে আসন সংখ্যা ৭ হাজার ৪০৬; যার মধ্যে এমবিবিএস ৬ হাজার ১টি এবং বিডিএস ১ হাজার ৪০৫টি। অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট আসন ১৩ হাজার ৫১; যার মধ্যে এমবিবিএস কোর্সে ১১ হাজার ১০১টি এবং বিডিএস কোর্স ১ হাজার ৯৫০টি আসন।
সর্বমোট ১৩ হাজার ৫১টি আসনের জন্য এমবিবিএস এবং বিডিএস কোর্সে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ বছর মোট আবেদনকারী ১ লাখ ২২ হাজার ৬৩২ জন; যার মধ্যে ৪৯ হাজার ২৮ জন আবেদনকারী ছেলে এবং ৭৩ হাজার ৬০৪ জন মেয়ে।





