চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ দিকে হঠাৎ করে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ও মৃত্যুর হার বাড়তে থাকে। সেপ্টেম্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ঠেকে ৬০ এর ঘরে।
এরপর তড়িঘড়ি করে ঢাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে পুনরায় ব্রুটোসূচক নির্ণয়ে জরিপ করতে মাঠে নামে আইইডিসিআর। ঢাকার দুই সিটির ৩ হাজারের বেশি বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ৪৬৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পায় মাঠকর্মীরা। এ হিসেবে সংস্থাটি জানায় রাজধানীর ১৪ দশমিক ৭১ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার অস্তিত্ব রয়েছে। যার ছাপ পড়েছে রাজধানীর হাসপাতালগুলোর ওপর। বিভিন্ন জেলা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আসায় বেড়েছে চাপ।
রোগীরা বলছেন, মশা নিধনে পাড়া মহল্লাতে ফগার মেশিন ও হ্যান্ড স্প্রেতে তরল জীবাণুনাশক ছিটানো হচ্ছে কম।
এদিকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রকে দ্রুত বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। নজর বাড়াতে হবে ডেঙ্গুর হটস্পট এলাকায়।
আরও পড়ুন:
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘মশা থেকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। বিশেষ করে শিশুদের বাড়তি নজরদারিতে রাখতে হবে। মশারির বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। মশাকে দূর করার জন্য কিছু রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া যায় সেগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। নিজের ঘর এবং আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।’
আর মহাখালীর ডিএনসিসির ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালের পরিচালক জানান, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের দায় রয়েছে। অক্টোবর ও নভেম্বরে ভয়াবহ রূপে ফিরে আসতে পারে ডেঙ্গু ।
ডিএনসিসি ডেডিকেটেড ১৯ হাসপাতাল পরিচালক ডা. কর্নেল তানভীর আহমেদ বলেন, ‘আপনারা জানেন গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জন্য সারাদেশে জলবায়ুর পরিবর্তন আসছে। এডিস মশার বংশ বিস্তারের জন্য ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সবচেয়ে ফেবারেবল। এখন শরৎকালে ৩০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রা একটি কারণ হতে পারে। আর্দ্রতাও অন্যতম কারণ হতে পারে।’
চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্তের হার ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১৯১ জনের।





