খেলাধুলা আর ছোটাছুটিতে মেতে থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কাছে হেরেছে চাঞ্চল্য। অসুস্থ সন্তানকে নিয়ে চিকিৎসকের জন্য অপেক্ষা বাড়ছে স্বজনদের। আর রোগী সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসকদের।
একই বেডে ২-৩ জন শিশুকে চিকিৎসা দেয়ার এই দৃশ্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলের। শয্যা না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন মেঝেতে। গেল কয়েকদিন ধরেই রোগীতে পরিপূর্ণ শিশু ওয়ার্ড। প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে শয্যার চেয়ে ৩ গুণের বেশি রোগী। যার বেশিরভাগই জ্বর, ঠান্ডা, কাশি ও নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত।
রোগীর স্বজনদের মধ্যে একজন জানান, ডাক্তার বলছে নিউমোনিয়া হয়ছে। কাল শ্বাসকষ্ট হয়েছিল আজ একটু ভালো ।
এদিকে দিনে গরম আর রাতে শীত নামার সঙ্গে সঙ্গেই পঞ্চগড়ের হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। গেল দুই সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে শয্যার চেয়ে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। এই কয়দিনে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে ১৪ হাজারের বেশি আর ভর্তি হয় সাড়ে তিন হাজার রোগী। এতে হাসপাতালে জনবল সংকটে চিকিৎসা পেতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে রোগীদের। দুই দিনের মধ্যে জ্বর না কমলে দ্রুত চিকিৎসকদের কাছে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
একই চিত্র চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালেও। শিশু ওয়ার্ডের বেড ছাপিয়ে রোগী রাখা হয়েছে প্রবেশ গেটের বারান্দ পর্যন্ত।
চিকিৎসকরা বলছেন, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর বেশিরভাগই ঠান্ডজনিত রোগে আক্রান্ত। শিশু ওয়ার্ডের দুটি রুমে ২৭টি বেড থাকলেও ভর্তি আছে দুইশ'র বেশি রোগী। যাতে চিকিৎসা দিতে হিমশিম অবস্থা চিকিৎসক ও নার্সদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: রবিন বলেন, 'প্রতিদিন রোগী ভর্তি থাকে সাড়ে তিনশ'র অধিক। বাইরে রোগী থাকে ১ হাজারের অধিক। আবার মাঝে মাঝে বৃষ্টি যার ফলে দুর্ভোগে পড়ছে শিশু এবং বৃদ্ধরা।'
গেল একমাসে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল রোগী ভর্তি হয়েছে ৪ হাজারের বেশি। যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি।