হায়া সোফিয়া মসজিদের সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু

হায়া সোফিয়া মসজিদের সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু
হায়া সোফিয়া মসজিদের সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু | Ekhon TV
0

ঐতিহাসিক হায়া সোফিয়া মসজিদের গম্বুজের সংস্কার ও সৌন্দর্যবর্ধনে কাজ শুরু করেছে তুর্কি সরকার। প্রায় ১৫শ বছরের পুরানো প্রাচীন এই স্থাপনায় এবারই বৃহৎ পরিসরে চলবে সংস্কার কাজ। নির্মাণকাজ চললেও মসজিদে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি ইতিহাস আর ঐতিহ্য পূর্ণ এই স্থাপত্যশৈলী দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা।

প্রায় ১৫শ' বছর ধরে ইতিহাসের সাক্ষী আয়া সোফিয়া। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে এক সময়ে গির্জা, পরবর্তীতে মসজিদ এবং জাদুঘর হিসেবে এখনো ঐতিহ্যের ধারক হয়ে আছে প্রাচীন এই নির্দশনটি।

ইতিহাস বলছে মধ্যযুগীয় রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টানদের উপাসনালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয় এই স্থাপনা। ১৪৫৩ সালে অটোমান সুলতান মুহাম্মদ ফাতেহের বিজয়ের পর হায় সোফিয়াকে মসজিদে রূপ দেন তিনি। এরপর ১৯৩৫ সালে তুরস্ক সরকার আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর হিসেব ঘোষণা করে। এর ৮৬ বছর পরে ২০২০ সালে আবারো মসজিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় হায়া সোফিয়া।

এবার ইতিহাসের সাক্ষী এই মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন করছে তুর্কি সরকার। মসজিদের গম্বুজের স্থায়িত্ব বাড়ানোর পাশাপাশি সংস্কার করা হচ্ছে বিভিন্ন অংশ।

যদিও প্রায় ১৫শ বছর বাদে এসেও আয়া সোফিয়ার নির্মাণ শৈলী এখনও মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের। মসজিদ হলেও সব ধর্মের মানুষই প্রবেশ করতে পারেন এখানে। আয়া সুফিয়ার ভেতরে থাকা চোখ ধাঁধানো ঝাড়বাতি ও ইসলামিক নির্মাণ শৈলীতে মুগ্ধ হন দর্শনার্থীরাও।

ইতিহাসবিদ ও স্থাপত্য শিল্পীরা বলছেন, সকল সংস্কার প্রক্রিয়া শেষে ইতিহাসে একটি নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় উন্মোচন করবে এই স্থাপনা।

এক স্থাপত্যশিল্পী বলেন, ‘আমি বহু বছর ধরে এই কাজের সাথে জড়িত। এটি সত্যিই বিস্ময়ে ভরা একটি কাঠামো। মসজিদটির গম্বুজ পুনরুদ্ধার এবং শক্তিশালীকরণ কঠিন কাজ। তবে আমরা সর্বোত্তম উপায়ে করার চেষ্টা করছি। ভূমিকম্প, নানা দুর্যোগ এবং অটোমান যুগে বিভিন্ন পুনরুদ্ধারের মধ্য দিয়ে গিয়েছে এই স্থাপনা। বর্তমান প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি ব্যবহার করে সর্বোত্তম উপায়ে এটি সংস্কার করা হবে।’

প্রথম পর্যায়ে, প্ল্যাটফর্মটির ভেতরে কাজ শুরু হবে। বর্তমান সীসার কভারের উপরে একটি অস্থায়ী কভার তৈরি করা হবে। পরে, আমরা কভারটি সরিয়ে ফেলব।

আমরা এখনও জানি না সংস্কার এবং মেরামতের পর গম্বুজটির গঠন কেমন হবে। আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি, কাঠামো ঠিক রেখে কাজ করে যাওয়ার। আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির কারণে গম্বুজ সংস্করণে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

এদিকে, সংস্কার কাজ চলাকালীন সময়েও মসজিদটিতে নামাজ আদায়ের পাশাপাশি খোলা থাকবে দর্শনার্থীদের জন্য। তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, ২০১৫ ও ২০১৯ সালে দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্থান হিসেবে তালিকার শীর্ষে ছিলে আয়া সোফিয়া মসজিদ।

এএইচ