পরিবেশ ও জলবায়ু
0

গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত, প্রাণহানি ৬ জনের

কুমিল্লায় গোমতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ২টি উপজেলা। পানিবন্দী মানুষের উদ্ধার তৎপরতা আরও জোরদারের আকুতি বন্যা দুর্গতদের। ক্রমেই তীব্র হচ্ছে খাবার সংকট। পানি আরও বাড়লে সৃষ্টি হবে মানবিক বিপর্যয়। এদিকে, বন্যায় এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় মারা গেছেন সর্বোচ্চ ৬ জন।

হু হু করে লোকালয়ে ঢুকছে পানি। প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে কুমিল্লার গোমতী নদীর বুড়িচং উপজেলার বুড়বুড়িয়া বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। আতঙ্কিত নদীপাড়ের মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে থাকে দিকবিদিক। অনেক নারী-পুরুষ গবাদিপশু নিয়ে বাঁধে আশ্রয় নিলেও অনেকেই আবার আটকা পড়েছেন বাড়ির ছাদে।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আমার ঘরে বুক সমান পানি। সব আটকে আছে। কোনো কিছু বের করতে পারি নাই।’

আরেকজন বলেন, ‘যে পানি হচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে দোতলার উপরও পানি উঠে গিয়েছে।’

তীব্র বেগে নদীর পানি জনপদে প্রবেশ করায় প্লাবিত হচ্ছে ব্রাহ্মণপাড়া ও বুড়িচং উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বানের জলে ভেসে গেছে শতশত মাছের ঘের, সবজি বাগান। চরের উর্বর মাটিতে ফলতো সবজি। জোয়ারের পানিতে ডুবেছে সব। বানভাসি মানুষরা বলছেন, এমন পরিস্থিতি তারা অতীতে কখনও দেখেননি।

আরেকজন বাসিন্দা বলেন, ‘গত ২০ বছরে এমন কোনো পরিস্থিতি দেখি নাই।’

এদিকে, পানিবন্দী মানুষদের উদ্ধার তৎপরতার গতি সন্তোষজনক নয় বলছেন ভুক্তভোগীরা। বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যহত হচ্ছে মোবাইল সংযোগও।

সময় বাড়ছে, বাড়ছে জনপদের মানুষের উদ্বেগ আর উৎকন্ঠা। বানের জলে ভাসছে মাছ, ফসল, ভাসছে তাদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনা।

tech